বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৬

বুদ্ধ ধর্ম

nnot be far,’- স্কটের মৃত্যু দিনে
চন্দ্রালোকে চন্দ্রাহত
‘প্যাঁচা’র পাঁচালী
বনপলাশীর পদাবলী-১, বারৈইয়ারঢালা
২৯ ফেব্রুয়ারির সকাল
জসীম উদদীনের ভ্রমণকাহিনী ‘চলে মুসাফির’
শতবর্ষ আগে বরিশালের (বাকেরগঞ্জ) বন্যপ্রাণী
শুভ জন্মদিন আলী সাহেব
শতবর্ষ আগের ময়মনসিংহের পশু-পাখি
শত বছরে খুলনার বন্যপ্রাণী
সদস্য পরিচয়: *

পাসওয়ার্ড: *

ভুলোনা আমায়

ছবিতে দেখানো কোডটি কি?: *

OpenID ব্যবহার করে লগইন করুন
সদস্য নিবন্ধন
পাসওয়ার্ড হারিয়েছে?
নীড়পাতা » ব্লগ » তারেক অণু এর ব্লগ
যাকে সর্বশ্রেষ্ঠ মানব বলে উপলব্ধি করতেন রবীন্দ্রনাথ
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বিষ্যুদ, ১২/০৪/২০১২ - ৫:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি: গ্রন্থালোচনা স্মরণ বুদ্ধ দেব রবীন্দ্রনাথ

জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক – কি আশ্চর্য শক্তিশালী ধরনের নব চেতনার ধারক একটি কথা! জগতের সকল প্রাণী, কেবলমাত্র মানুষ নয়, সমস্ত প্রাণীকুলের সুখী হবার অধিকার নিয়ে কথা বলা হয়েছে এইখানে। সেই আঁধার যুগে শোনালেন সাম্যবাদের গান, কে তিনি?
সিদ্ধার্থ নামের এক যুবরাজ, যিনি পরিচিত সারা বিশ্বের কাছে গৌতম বুদ্ধ হিসেবে। তিনিই বিশ্বে প্রথম কমিউন বা সঙ্ঘ শব্দটি ব্যবহার করেন, যে কারণে অনেকেই তাকে কমিউনিজমের আদি গুরু বলে থাকেন, সেই সাথে সকলের সম অধিকারের ব্যাপারটি তো আছেই।
বুদ্ধদেব আমার কাছে এক পরম আশ্চর্যের মানুষ, প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে আমাদেরই অঞ্চলের এই পাহাড়ি রাজ্যে জন্ম নিয়ে আপাতদৃষ্টিতে কোন অলৌকিক বলে সত্যজ্ঞানপ্রাপ্ত হয়ে অলৌকিকতাকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বাণী দিলেন- ধর্মকে বিশ্বাস করো না - অন্ধভাবে ভুল জিনিস শিখতে পার, সংস্কৃতিকে অনুকরণ করো না - অন্যের ভুল ধারণা তোমাকে প্রভাবিত করতে পারে, নিজে যাচাই-বাছাই করে যুক্তিসিদ্ধ মনে হলেই তবে সেই তথ্য গ্রহণ করতে পার।
সেই সাথে চারপাশে ছড়িয়ে থাকা লক্ষ কোটি দেবতাদের তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে বললেন, আমাদের বিপদে তো দেবতারা এগিয়ে আসেন না, নিজেদেরই সামলাতে হয়! তাদের কি দরকার আমাদের ?
কিন্তু তাহলে যে দেবতা জ্ঞানে বুদ্ধ দেবের মূর্তিতে সারা বিশ্ব জুড়ে পুজো করা হয়! নানা বইপত্র ঘেঁটে জানলাম- যে বুদ্ধ ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করতেন না তিনি নিশ্চয়ই নিজের মূর্তি গড়ে উপাসনা করতে বলে যান নি। এই ক্ষেত্রে মূল সমস্যা পাকিয়ে গেছে ভারতীয় উপমহাদেশে আক্রমণকারী গ্রীক সেনাদল, যাদের নেতৃত্বে ছিল আলেকজান্ডার। তারা বয়ে আনা প্যাগান ধর্মের সাথে এই দেশীয় প্রচলিত বিশ্বাসের একটা জগাখিচুড়ি নির্মাণের প্রয়াস চালালো এবং ব্যাপক ভাবে সফল হল, মানুষের মনে গেড়ে থাকা বুদ্ধদেবকে তারা গ্রীক সূর্যদেবতা অ্যাপোলোর আদলে মাথায় উঁচু করে বাঁধা চুলের আদলে ঢিবি দিয়ে নির্মাণ করল। উল্লেখ্য, আফগানিস্তানেই মনে হয় একমাত্র উপাসনালয় স্থাপিত হয়েছিল যেখানে একই বেদিতে হারকিউলিস এবং বুদ্ধদেবের মূর্তি আসীন ছিল।
মনে প্রশ্নে ঝড় বয়ে যায়, যে মানুষটি এতটাই আধুনিক ছিল, সে কি করে গতজন্ম- পরজন্মের মত খেলো ব্যাপারে বিশ্বাস স্থাপন করতে পারেন? পরে শুনি, এটিও ঐতিহাসিক রাজনৈতিক চক্রান্ত, শঙ্করাচার্য নামের সেই মহা ধড়িবাজ মৌলবাদী হিন্দুব্রাহ্মণ বুদ্ধ দেবের দর্শনের জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করে তাকে বিষ্ণুর একটি অবতার হিসেবে চালিয়ে দিল, সেই সাথে আর্য হিন্দুধর্মের পরজন্ম- জন্মান্তরের মত বিষয়গুলো বৌদ্ধধর্মের অংশ হয়ে গেল, অথচ বুদ্ধদেব কোন ধর্ম প্রচার করতেন না, তিনি তার একান্ত উপলব্ধি অর্থাৎ দর্শন প্রচার করতেন, অথচ তার মৃত্যুর অনেক বছর পরে এই মহামানবকে নিয়েই চালু হল ধর্ম, মূর্তিগড়া, যাবতীয় ব্যবসা!
বুদ্ধদেব নিয়ে যত তথ্য হাতে আসে ততই শ্রদ্ধার মাত্রা মহাকাশ ছাড়িয়ে যায়, অবাক বিস্ময়ে আপ্লুত হতে থাকি বারংবার , বিশ্বের যেখানেই যাওয়া হয় বুদ্ধ সম্পর্কে নতুন বইয়ের খোঁজ পেলে সংগ্রহ করবার চেষ্টা করি সবসময়ই, তবে তাকে দেবতা জ্ঞানে গদ গদ ভক্তি মার্কা লেখা না, তার দর্শনমূল্য বিবেচনা করে তথ্যসমৃদ্ধ লেখা। এবং তাবৎ বিশ্ব হাতড়িয়ে কয়েক মাস আগে খেয়াল করি বুদ্ধদেব সম্পর্কে আমার পড়া সবচেয়ে সুলিখিত, ব্যপক তথ্যসমৃদ্ধ বইটি লেখা হয়েছে বাংলা ভাষাতেই, লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
বুদ্ধদেব নামের শীর্ণ বইটি মূলত রবিঠাকুরের বিভিন্ন সময়ে বুদ্ধদেব নিয়ে লেখার সংকলন, বইটির প্রথম লাইন হচ্ছে- আমি যাকে অন্তরের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মানব বলে উপলব্ধি করি আজ এই বৈশাখী পূর্ণিমায় তার জন্মোৎসবে আমার প্রণাম নিবেদন করতে এসেছি।
এরপরে বিশ্বকবি তার ঐন্দ্রজালিক ভাষায় উচ্ছসিত উপমা আর মুগ্ধতার জাল বুনেই থেমে যান নি বরং রীতিমত যুক্তির কষ্টিপাথর দিয়ে যাচাই করে দেখিয়েছেন কেন বুদ্ধকে বিশ্বমানব বলা হয় এবং কেন তার বাণী সর্বজনগ্রাহ্য হবে। বিশেষ করে কবি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন বারংবার সেই ভেদাভেদমুক্ত সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থার প্রচলনের চেষ্টার, উল্লেখ করেছেন বুদ্ধের আবির্ভাবে- সত্যের

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন