ইসকোন ঠাকুরদের একটি সংগঠনের নাম আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ, সংক্ষেপে ইসকোন, যে নামে এই সংগঠনটি সহজ সরল ধর্ম প্রাণ হিন্দুদের কৃষ্ণের নামে হিন্দুদের ধন সম্পদ, জায়গা, জমি কেঁড়ে নিচ্ছে, মালা, ঝোলা, তিলক বিক্রি করছে , নিজেরা সাধু হয়ে ভিক্ষার ঝুলি ঘাড়ে নিয়ে সাধারণ গৃৃহস্ত হিন্দুদেরও ভিক্ষার ঝুলি তুলে দিচ্ছে, তাতে দাতা এবং ভিক্ষুকের ঝুলি পার্থক্য নিরূপণ করা কঠিন, কিংবা কৃষ্ণের নামে ভিক্ষা করলেও তাদেরকে আপনারা ভিক্ষুক বলতে পারবেন না! এটাও তাদের একটা চালাকি, বেশী জোর বলতেন একজন কৃষ্ণ ভক্ত, কারণ ভিক্ষুক হলে তাদের ঘারেই শুধু ঝোলাটা থাকতো, যা আপনারও ঘারে! ইসকোন নামক এই সংগঠনটি ভুলিয়ে ভালে জমি কেঁড়ে নেয়, যখন কেঁড়ে নেয় তখন বলে কৃষ্ণকে দান করছো, আবার যখন নেওয়া হয়ে গেলো তখন বলে, আপনি কৃষ্ণ ভাবনা মৃত সংঘকে দান করেছেন, যেন ভগবান কৃষ্ণের জমি, জায়গার খুব অভাব, কৃষ্ণের নামে সহজ সরল হিন্দুদের ঠকিয়ে খাওয়াই এই সংঘের কাজ, ইসকোন যদি international ই হয় তাহলে আমরা যখন এদেরকে জমি জায়গা দান করি, তখন সম্পদটা দেশীয় না আন্তর্জাতিক হয়? বাংলাদেশ এবং ভারতের বহু জায়গা, শিল্প কারখানার মালিক এখন ইসকোন! যে ভারতের টাকায় ইসকোন এত প্রতিষ্ঠিত তাদের সাধুরা কি বলে জানেন, আমাদের পিছনে আমেরিকা আছে, অথচ তাদের মুখে কখনো শুনিনি আমাদের পিছনে হিন্দু রাস্ট্র ভারত আছে, বিশ্বে কি ভারত কম শক্তিশালী ?ভারতের কথা তাদেরকে আবার বলতে দেখি না কেন? আব তারা যে দেশ নিয়ে গর্ব করে যারা আবার খ্রীষ্টান? দেশাত্ববোধ টাও এদের মধ্যে খুব একটা লক্ষ্য করা যায় না! এরাও একটা আত্মধ্বংসী সংগঠন, দিন রাত যতবার কৃষ্ণ কৃষ্ণ করে তার চেয়ে এদের মুখে কথায় কথায় আমেরিকা আমেরিকা বেশী, কার ভালবাসায় এরা সিক্ত, হিন্দুরা কি একবার ভেবে দেখেছেন, Electric মেসিন দিয়ে কি কখনো নাম জপ হয়? মেসিন যেখানে কাজ করে সেখানে মনের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়, কৃষ্ণ নাম জপতে মন না মেসিনের প্রধান্য বেশী, নাকি নাম জপার মেসিন বেঁচাই এদের লক্ষ্য কোনটি? , ? এদের কর্ম কান্ড হিন্দু জাতির জন্য মৃতরই মতো ! সে সত্যটাই হয়তো আজ হোক কাল হোক, মানুষ জেনে ফেলবে, , হয়তো অদূর ভগিষ্যতে যখন তাদের নীতি মানুষের কাছে মৃত বলে প্রমাণীত হবে তখন তাদের অবশিষ্ট সাধুদের বলতে আর অসুবিধা হবে না, আমরাতো ভাবনামৃত সংগঠনেই, তাই আমাদের ভাবনা মৃত হয়েছে, সিগারেটের মতো আপনারা জেনে শুনেই বিষ খেয়েছেন, হায়রে আমেরিকার চাল, বেশ্যাকে ধরেও অসামাজিকতার জন্য বিচার করা সম্ভব হয় না, কারণ বেশ্যার গায়ে আগের থেকে বেশ্যার লগো সার্টিফিকেট দেয়াই থাকে! ইসকোন যখন সংগঠন হিসেবে খুব একটা ভাল করে দাঁড়ায়নি তখন এই সব সাধুরা বলতো আমাদের দেহ মন সব কৃষ্ণের নামে সমর্পণ করেছি, তাই আমরা বৈষয়িক বা জাগতিক ধন সম্পদের আশা করি না, ভাল কথা তাহলে সাধারণ গৃহস্তের এরা জমি, জায়গা কেঁড়ে নেয় কেন? এই সব সাধুরা আরো বলে যে কৃষ্ণের কাছে আমরা যেহেতু সব অর্পণ করেছি, তাই আমাদের ব্যক্তিগত স্বার্থে বিয়ে বা ঘর সংসার করার করাও প্রয়োজন মনে করি না, কারণ আমরা সন্যাসী এবং বিষয় আশাদির উপরে আসক্ত নই তেমনি বউ, বাচ্চা কাচ্চার উপরেও আসক্তি নই, তাই আমরা কৃষ্ণ সন্যাসীরা বিয়ে করি না, ভাল কথা, তাদের অনেক বইয়ে যা এখনো লিখা হয়ে আজো প্রমাণ হয়ে আছে, অথচ ইসকোন প্রতিষ্ঠার শুরুতে যখন সংগঠনটি দরিদ্র ছিল, তখন ইসকোনের কোন সাধুই বিয়ে করার কথা বলে নাই, অধিকিন্তু অনেক বিবাহিত পুরুষও সেই সময়ে বউ , সন্তান ছেড়ে সব ফেলে তাদের আশ্রমে গিয়ে বৈরাগ্য জীবন যাপন করতো! সেই ইসকোনেই যখন হিন্দুদের কাছ থেকে কৃষ্ণের নামে কামাই করে নিজেকে দাঁড় করালো বা করতে সমর্থ হলো তখন সেই মন্দির বা আশ্রমে থাকা নারী কৃষ্ণ ভক্তদের এই সব সাধুরা বিয়ে করার ফন্দি আঁটলো, যে কৃষ্ণ শিশুর জন্য, আশ্রমে থাকা গৃহত্যাগী সন্যাসীরা বিয়ে করতে পারবে, এতদিন যে সব সাধুদের লিঙ্গ জাগেনি, তারাই এখন কৃষ্ণ শিশু উৎপাদনের কথা বলে, ফতোয়া দিচ্ছে, তাদের কথা গৃহ সন্যাসীরা যদি বিয়ে করতে পারে, আমরা আশ্রম সন্যাসীরা কেন বিয়ে করতে পারব না? এই হচ্ছে আশ্রমবাসী কৃষ্ণ সন্যাসীদের বর্তমান বিষয়াদি এবং স্ত্রী পুত্র করে আমার আমার করার আধুনিক নীতিবোধ! এখন ভারত এবং আমেরিকার বড় বড় ইসকোন সাধুরা আশ্রমে থেকে শুধু কৃষ্ণ মোহেই অন্ধ হয়ে নাই, তাদের হাতে এখন কল কারখানা, গরুর খামার, এক কথায় বৈষয়িক আসক্তিতে আসক্ত, এখন নারীকেও তারা ভোগ করতে বাদ দিচ্ছে না? অবাক সংগঠন! ইসকোন ঠাকুরদের ধর্ম এখন ভাতের হাড়িতে, আমিষ, নিরামিষ এবং স্বাত্বিক আহারের সুচিতা নিয়েই তাদের ধর্মের মূল আলোচনার বিষয়, আর হিন্দু হলেও কার হাতে খাওয়া যাবে, কার হাতে যাবে না, কে পায়খানা করে জল নেয় না, কে মাছ খায় , সব সময় এ সব বাজে তথ্য ছড়াই যেন তাদের কাজ! সব ধর্ম যেন তাদের খাওয়া দাওয়ার মধ্যে, অথচ যে আমেরিকায় এরা ধর্ম প্রচার করে, সে আমেরিকাবাসীর একশ ভাগ মানুষেই আমিষ ভোজী! অনির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে এই সব ইসকোন কর্মকর্তারা যারা ভারত থেকে হিন্দু মেয়েদের সন্যাসী করে আমেরিকায় নিয়ে গেছেন , সেই সব মেয়েদের এরা অনেক টাকার বিনিময়ে আমেরিকার ঢনাড্য ব্যক্তিদের কাছে বিয়ে করার কথা বলে বিক্রি করে দেয়, অথচ নামে মাত্র লোক দেখানো এই সব আমেরিকানরা বিয়ে করার কথা বলে নিয়ে গেলেও তাদেরকে এক বছর চুক্তি মাফিক যৌন দাসী বানিয়ে ভোগ করে, চুক্তি শেষ করে আবার আশ্রমে রেখে যায়! এটাও একটাই ইসকোনের গোপন ব্যবসা! যে স্বার্থের কারণে ইসকোনদের মধ্যে অনেক ভিনদেশী ভক্ত পাওয়া যায়, যারাই প্রথম হিন্দু সন্যাসী মেয়েদের প্রথম বিয়ে করা শুরু করে নামকাওয়াস্তে ইসকোনের মন্দিরের শিষ্য হয়! ভদ্রবেশে হিন্দু এবং ভিন দেশী কৃষ্ণ ভক্ত মেয়েদের দিয়ে সুকৌশলে বিয়ে নামক প্রতারণায় আমেরিকা এবং বিদেশী পুরুষদের হাতে তুলে দিয়ে দেহব্যবসা করাই এই সংগঠনের গোপন রহস্য, তা না হলে ভারত থেকে যে এরা প্রতি বছর ৩০.০০০ মেয়ে আমেরিকা , আফ্রিকা , সহ বাইরের দেশে নিয়ে যায় সে সব মেয়েদের হদিস কই? বিষয়টি কি একবার কেউ একবার ভেবে দেখেছেন?, ভেবে দেখেছন কি হিন্দু সন্যাসী মেয়েদের বিয়ে করার কথা বলে কিছু আমেরিকান খ্রীষ্টান , জয়পতাকার ইসকোন মন্দিরে এসে লোক দেখানো কৃষ্ণ ভক্ত হয়ে, দীক্ষা নিয়ে দু এক সপ্তাহ টাপার- টুপুর করে কৃষ্ণ নাম জপে , কেউ হিন্দু সন্যাসীকে নিয়ে ভাগিয়ে যায়, কেউ আবার সরাসরি বিয়ে করে নেয়, কৃষ্ণ ভক্ত হওয়ার অধিকারে তা কি কেউ একবার ভেবে দেখেছেন? বিদেশী লোকদের হঠাৎ করে কৃষ্ণ মন্দিরে এসে দীক্ষা নেওয়ার কারণ কি? এর মূল কারণ হিন্দু সন্যাসী মেয়েদের পার্ট টাইম যৌন ভোগের সুবিধা করে দেওয়া, ইসকোন আমেরিকায় সেই কাজটি সুকৌশলে করে চলছে, আমেরিকানদের সুবিধার্থে! প্রভুপাদের সময়ে এই সব ভন্ড আমেরিকানরা এই সব কু কর্ম করতে পারেনি, জয় পতাকার আমল থেকে সন্যাসীদের মধ্যে সংসার কিংবা আশ্রমে থেকে যৌনজীবন, কিংবা আশ্রমের বাইরে মেয়েদের বিয়ে করার অনুমতি দেয়, বিদেশীরা সেই নিয়মে দু এক সপ্তাহের জন্য দীক্ষা নিয়ে সেই আশ্রমে থাকা হিন্দু সন্যাসী মেয়েদের বিয়ে করে নিয়ে চম্পট দেয়, পরে হিন্দু হিন্দু সন্যাসী মেয়ে ঠিকই দেখে লোক দেখানো কৃষ্ণ ভক্ত হয়ে যে বিদেশি তারে নিয়ে গেলো সে ঠিকই একজন খ্রীষ্টান, এবং মেয়েটি একজন তার গৃহ যৌন কর্মী! এই অবৈধ ব্যবসার জোরে বাইরের দেশ গুলোতে ইসকোন সন্যাসীদের মধ্যে কৃষ্ণ শিশু তৈরীর মাধ্যমে চলছে অলিখিত দেহব্যবসা! সে জন্য বিদেশিদেরও বেশী ভীড় সেখানে লক্ষ্য করা যায়! এর থেকে এটাই বুঝা যায়, কৃষ্ণ নাম জপ করার জন্য বিদেশীরা আশ্রমে কিংবা কৃষ্ণ মন্দিরে ঘুরে না, কৃষ্ণ হিন্দু মেয়েদের যৌনদাসী কিংবা ভোগ করার লালসায় এই সব ভিনদেশী নকল কৃষ্ণ ভক্তরা ঘুরে আশ্রমের দ্বারে দ্বারে?
দারুন লিখেছেন।
উত্তরমুছুন