মুসলমানদের চিন্তার মধ্যে গন্ডীভূত বিশ্বাসের জোর বেশী, যার মধ্যে ভুল ভ্রান্তি যা থাকে থাক, সবাই একই জিনিস বিশ্বাস করে, এই বিশ্বাসের জোর তাদেরকে এক করতে পারলেও অন্য জাতিরা যেখানে চিন্তায় এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব এবং আধুনিকতার সংগে তাল মিলিয়ে, মুসলমানরা সেখানে ইসলামের নামে পুরাতনী চিন্তায় পড়ে আছে, এতে একটা ভবিষ্যতে বড় সমস্যা উদ্ভব হবে, যেমন এখনো যদি কেউ গাছ পালার বাকল বা ছাল পড়ে ইজ্জ্বত ঢাকে তা হবে যেমন হাস্যকর, তেমনি একদিন মুসলমা এবং ইসলাম ধর্ম হবে পৃথিবীর একটা হাস্যকর ধর্ম! কারণ কোরানকে মানতে গিয়ে এরা যখন পৃথিবীর কোন পরিবর্তনের সংগে খাপ খাইয়ে নিতে না পারবে, তখন তারা চিন্তা চেতনায়ও পিছিয়ে পড়বে, এই পিছাতে পিছাতে তারা এমন এক অবস্থায় পৌঁছবে, আজ থেকে হাজার বছর পর তারা নিজেদের মুসলমান পরিচয় দিতেও লজ্জ্বাবোধ করবে, তবু তাদের বর্বরতা থাকবেই, যেমন হিন্দুদেরও মধ্য কিছু সাধু দেখা যায়, নিরামিষ খেয়ে খেয়ে শরীর শেষ, তবু ডিম খায় না, জানি না, তার ভগবান তাকে কি বলেছে? পৃথিবীর অন্যান্য ধর্ম এবং জাতি যে ভাবে পরিবর্তন মেনে নিচ্ছে, নতুন নতুন গবেষণার মাধ্যমে, ইসলাম সেখানে পুরাতনী ধারায় নিজেদের বর্বরতা এবং মূর্খতা দিয়ে একই অবস্তানে আছে, এতে মুসলিমদের চিন্তা শক্তির বিকাশ হচ্ছে না, পৃথিবীর কোন জাতির চিন্তা শক্তির বিকাশ এক সংগে এগিয়ে যায় না, যেমন হিন্দুদের কথাই বলি, হিন্দুরা এখনো মাটি পুজা করে, পিতল পুজা করে, গাছ পুজা করে, এক কথায় দুনিয়ার এমন কোন জিনিস নাই যে হিন্দুরা পুজা করে না, অথচ হিন্দুদেরই মধ্যে বৈদিক নিয়মে অনেক হিন্দুই এ সব পুজার বিরোধী, শুধু তাই নয়, চিন্তার স্বাধীনতার আলোকে হিন্দুদের মধ্যে অনেকে কট্টর মাওবাদী, অনেকে মার্কসবাদী, এক কথায় বস্তুবাদী লেলিনীয় আদর্শে বিশ্বাসী, হিন্দু খ্রীষ্টান এবং বুদ্ধরা যে কমিউনিস্ট এর বস্তুবাদী আদর্শে বিশ্বাসী, বিপরীত ভাবে পৃথিবীর কোন মুসলিম দেশে মার্কসবাদী, লেলিনবাদী বা মাওবাদী আদর্শ গ্রহণের নজীর পৃথিবীর কোন মুসলিম দেশে আছে কি, তাহলে যে হিন্দুদের এবং হিন্দু ধর্মের মানুষের আপনারা অজ্ঞ এবং মূর্খ বলে, খারাপ ভাবেন, তাদেরই বড় একটা অংশ নাস্তিক্যবাদের চিন্তার অনুসারী, অথচ ইসলামে নাস্তিক হওয়ার কোন সুযোগ নাই,. তাহলে চিন্তা চেতনায় হিন্দুরাই এগিয়ে যাচ্ছে নাকি মুসলমানরা? আজ ভারতে কোটি কোটি হিন্দু নাস্তিক্যবাদের সমর্থক, তাই সভ্যতার বিকাশের সংগে সংগে মুসলমানরা ইসলামের দোহাই দিয়ে পুরাতনী মতবাদ দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে, তাতে ইসলামের জয় হবে না, তার প্রমাণ পৃথিবীর সব মুসলিম দেশ, আজ থেকে ১০৮ বছর আগে গোটা ভারতবর্ষে দু একটি হিন্দুকেও খুঁজে পাওয়া যায় নাই, যারা ইসলাম সম্পর্কে কিছু জানে এবং সমালোচনা করে, কিন্ত এখন ভারতে কৌটি কৌটি ইসলাম বিরোধী মানুষ, যে শিক্ষাটা ইসলামেই হিন্দুদের শিখিয়েছে, এমন কি সামাজিক ভাবে মূর্তি পুজায় বিশ্বাসী কিংবা বিশ্বাসী নয়, কিংবা নাস্তিক , কিংবা কমিউনিস্ট সব ধরনেরা মানুষেই এখন মনে মনে ইসলাম বিরোধী, তাহলে কেন এমন হলো! কারণ এটাই হাজার বছর ধর্ম মানুষ ইসলামের বর্বরতা দেখে এসেছে, মুসলমানদে কোন একখান বই খুললেই বিধর্মীদের সমালোচনা, এই হাজার বছর ধরে, বিধর্মীদের প্রতি ইসলামের সমালোচনা, এখন নিউটনের বল বিদ্যার সুত্রে, অর্থাৎ প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে, অন্য জাতি তথা ইসলাম যাদের বিধর্মী বলে, প্রতিক্রিয়া স্বরূপ তাদের বলের আঘাত মুসলমানদের পেতে হবে, এটাই প্রকৃতিক নিয়ম, এটাই ইতিহাসের শিক্ষা! হিন্দুরা মূর্তি পুজা করে জন্য মুসলমানরা হাসে, সেই মূর্তি পুজক জাতের কোটি কোটি হিন্দ যেএখন
কমিউনিস্ট অর্থাৎ সকল ধর্ম শত্রু, সেই হিন্দুরাই, এটা ভাবলে খুব অবাক লাগে!!
বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬
মুক্ত চিন্তা,,,,
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন