ধরলাম, কৃষ্ণের দেশ ভারত, ধরলাম রামের দেশ ভারত, ধরলাম চৈতন্যের দেশ ভারত, উপরের দুটি ভগবানের আমলে মুসলিমদের উপস্থিতির কথা তেমন একটা শাস্ত্র পড়ে জানা যায় না, কিন্তু চৈতন্য প্রভুর আমলে বা ইতিহাস পড়ে দেখতে পাই, তার আমলে ভারতের শাসক ছিল মুসলিম, আদি দেব দেবী দের কথা না হয় বাদই দিলাম, রাম এবং কৃষ্ণ এ দুটি ভগবান হিন্দু জাতির মাঝে এসেও কি করে মুসলমানরা দখল করে রাজত্ব শুরু করলো, কই মক্কা মদিনায় তো কৃষ্ণ এবং চৈতন্য কেউ অবতীর্ণ হতে পারছেন না? তাও ধরলাম ভারতেই না হয় হলেন, কিন্ত যে ভারতে স্বয়ং ভগবান আসলেন হিন্দু ধর্ম রক্ষার্থে , সে ভারতে যদি মুসলমান বাড়ে তাহলে বিষয়টি হাস্যকর নয় কি? কৃষ্ণ এবং রামের দেশে মুসলমান বাড়ে কেন? এর উত্তর হিন্দুদের কোন দেবতা কিংবা ভগবান দিতে পারবে না! কারণ ভগবানেই ভক্তের কলার আশা করে? হিন্দুদের এত ত্রিকালজ্ঞ ঋষি অবতার কেউ কেন ভারতকে পরাধীনতার হাত থেকে রক্ষা করতে পারলেন না? আমরা তো কৃষ্ণের আশায় বসে থাকি, পেরেছে কি কৃষ্ণ ভারত ভূমিকে রক্ষা করতে? পারেনি, শেষ পর্যন্ত করতে হয়েছে ভারতীয় হিন্দুদের, আমি যদি বলি রামের রাজ্যে কেন মুসলমান? কে উত্তর দিবে এ প্রশ্নের? আমি মনে করি সব কিছু ভগবান এবং পুতুল ভগবানের উপর বিশ্বাস এবং ধর্মীয় কিছু ভুলের কারণে হিন্দু জাতির এ পরিণতি, ভারত যে ক্রমে ক্রমে মুসলিম দেশের দিকে ধাবিত হচ্ছে, এত উচ্চ দর্শন থেকেও হিন্দু সমাজ, এবং কৃষ্ণ , রাম এবং চৈতন্য সবাই যেন নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে, আসল কথা হচ্ছে হিন্দু জাতির ভগবান হিন্দু জাতিই, হিন্দুদের ঐক্য শক্তিই, কারণ ভারতে ধীরে ধীরে মুসলমান কিংবা আল্লা প্রবেশ করলেও হিন্দুদের ভগবানদের স্বর্গ থেকে মর্ত্যে এসে তেমন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় না, নিজেরা ঐক্য বদ্ধ না হয়ে এই সব ভগবানদের উপর নির্ভর করে থাকাই হয়েছে হিন্দু জাতির ধ্বংসের কারণ, আর ধর্ম তো আছেই!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন