শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৬

বেদ এবং পুরাণ

সনাতন সন্দেশ - Sanatan Swandesh Facebook-এ আছে৷ সনাতন সন্দেশ - Sanatan...
যোগদান করুন
লগ ইন করুন

পূর্ববর্তী পরবর্তী
সনাতন সন্দেশ - Sanatan Swandesh
কিছু পৌরাণিক মূর্খ কিছু কাল্পনীক রপকথার গল্প সমৃদ্ধ কিছু হাস্যকর গাথাকে শাস্ত্র হিসেবে মর্যাদা দিয়ে থাকে।যার প্রায় বেশীরভাগ অংশই পাগলের প্রলাপে ভরা যেমন হাতী,ঘোড়া,মশা,মাছি,এমন কি শহরের জন্মও মানুষের গর্ভে,পৃথিবীতে মধু,মদ,দুধের সমুদ্র,সূর্য অপেক্ষা চাঁদ পৃথিবী থেকে বেশী দূরে,সূর্য পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে প্রভৃতি যা পড়লে পাগলেও অক্কা পাবে।তার উপর বিভিন্ন নোংরা অশ্লীল বানোয়াট গল্পকে লীলা বলে চালনার পরেও যখন এরা যুক্তি তর্কে পেরে ওঠে না তখন এরা তাদের সমস্ত রাগ বেদের উপর বর্ষন করে।পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের মধ্যেও বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে উদাহরন স্বরুপ মুসলিমদের মধ্য যত মতভেদই থাকুক না কেন তারা তাদের ধর্ম গ্রন্থের উপর একটা আচও লাগতে দেয় না আর সেখানে কতিপয় হিন্দু নামধারী তারা কতগুলো কাল্পনিক গ্রন্থকে শাস্ত্রের মর্যাদা দিয়ে যুক্তি তর্কে পেরে না উঠে স্বয়ং হিন্দুদের আদি তথা মূল ধর্মগ্রন্থ বেদকে নিয়েই গালিগালাজ করে!!!হিন্দুদের মূল ধর্ম গ্রন্থই বেদ বৈদিক উপনিষদ,মনুসংহিতা সর্বত্রই বেদকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে।স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ,রামচন্দ্র প্রভৃতি মহতী পুরুষ আর তাদেরো পূর্বে সমস্ত বৈদিক ঋষি সবাই বেদকেই মান্য করেছেন আর বর্তমানে কতিপয় পাষন্ডী ভন্ড কতিপয় গ্রন্থকে শাস্ত্ররুপে মানার পর যখন যুক্তি তর্কের অাঘাতে অাহত হয় যখন নিজেদের বানানো শাস্ত্রের অশ্নীলতা অার ভুলের কোন জবাব দিতে পারেনা তখন এরা হিন্দু ধর্মের মূল বেদকে গালিগালাজ করে।
বেদ নিয়ে নিন্দা করে কিন্তু বেদের মূল বিষয়ই এদের জানা নেই!! বেদে কোন স্থান,কাল,পাত্র বা কোন ব্যাক্তি বিশেষ,ইতিহাস,অলৌকিকতার কোন স্থান নেই।আর এরা বেদের এই মূল বিষয়ই উপেক্ষা করে তাদের মনোনীত ব্যাক্তিদের বেদ মন্ত্রে খুজে নিজেদের যুগের সর্ব শ্রেষ্ঠ জোকারে পরিণত করছে।এছাড়াও তারা বেদে অশ্নীলতার অভিযোগ তোলে!!!! যেমণ - বেদে বর্ণিত যম-যমীর সুক্তকে তারা ভাই-বোনের অজাচার সম্পর্ক বলে দাবী করে!! নিজেদের ব্রেনের সমস্যা না থাকলে কেউ বেদ মাতার অসম্মান করেনা।তারা কি বলতে চায় সৃষ্টির আদিতে বৈদিক ঋষিরা ঈশ্বরের ধ্যানের মাধ্যমে অজাচার বাণী লাভ করেছে!!??? বেদ মন্ত্র দ্রষ্টার ২৭ জন ঋষিই হচ্ছেন নারী যারা মানবজাতীর নিকট মাতৃসম পূজনীয়।ওইসব তথাকথিত পৌরাণিকরা কি দাবী করতে চায় যে এমন মহীয়ষী নারীরা অজাচার জ্ঞান তাদের পরবর্তী বংশধরদের শিখিয়ে গেছেন???? আর বর্তমানে তথাকথিত বৈষ্ণব গুলোর পরম আরাধ্য শ্রীকৃষ্ণ নিজেওতো বেদকে সম্মান দিয়েছেন। গীতায় তিনি নিজেইতো বলেছেন সমস্ত বেদের মধ্যে আমিই জানার বিষয়, আমিই ঋক,সাম ও যজুর্বেদ।ওদের ব্যাখ্যা ধরে যদি এখন ওই সব পৌরাণিকদের কাছে প্রশ্ন শ্রীকৃষ্ণই যদি জানার বিষয় হয় আর তিনি নিজেই যদি ঋগবেদ হন তাহলে যম-যমীর অজাচার কি তিনিই করেছেন???? বেদের নিন্দা করলেতো গীতা অনুযায়ী তাদের আরাধ্যকেই নিন্দা করা হচ্ছে আর বেদের মধ্যে অশ্নীলতা খুজলেতো স্বয়ং তাদের উপাস্যকেই অশ্নীল বলা হচ্ছে আর ওই সকল অজ্ঞানী পৌরাণিকের দল বেদকেই নিন্দা করে!!! যাই হোক এবার মূল বিষয় বিষয়ে আসা যাক-
ঋগবেদ ১০.১০ সুক্তে যম এবং যমীর বর্ণনা আছে যেখানে যমী যমের সন্নিকটে এসে মিলিত হতে চায় যাদের পিতা হচ্ছে বিবস্বত তথা সূর্য।
এখন যে সমস্ত পৌরাণিক উক্ত সুক্তে যম এবং যমীকে ভাই বোনের অজাচার হিসেবে দাবী করে তাদের এ দাবীর মূল উৎস কোথায়??? বেদ অনুবাদ করতে গেলে প্রাচীণ গ্রন্থ সমূহ নিঘর্ন্টু,নিরুক্ত,পাণীনি শাস্ত্রের মতন বৈদিক ব্যকরন গ্রন্থের প্রয়োজন হয়।বেদের দুরুহ সংস্কৃত শব্দের প্রকৃত বূৎপত্তিগত শব্দের অর্থ সমূহ সেখানে বিস্তর ব্যাখ্যা সহ রয়েছে।আর বেদের অর্থ এই সমস্ত ব্যাকরণ গ্রন্থ ছাড়া করা কোনদিনো সম্ভব নয় সেই সাথে রেফারেন্স হিসেবে ব্রাহ্মন গ্রন্থেরও প্রয়োজন হয় শব্দের অর্থ করতে তাই কেউ তার নিজস্ব মনগড়া অনুবাদ বা ব্যাখ্যা করে বেদের নামে অপব্যাখ্যা করলেইতো হবে না প্রমাণস্বরুপ এর ব্যাখ্যা দিতে হবে উক্ত নোংরা শব্দের অর্থ কোন বৈদিক ব্যকরণে আছে।আর একমাত্র নিচু মনমানিষকতার ব্যক্তিই কোন প্রমাণছাড়া বেদকে অশ্নীল দাবী করে নিজেদের নোংরামীর পরিচয় দেয়।আর সেই সাথে নিজেদের আরাধ্য শ্রীকৃষ্ণকেও।
.
প্রথমেই পৌরানিকদের পরম শ্রদ্ধেয় ভাষ্যকার সায়ণের কথা ধরা যাক। সায়ণ নিজেও এখানে যম-যমী কে ভাই বোনের অজাচার হিসেবে মান্য করেন নি ।তার ভাষ্যেও যম কে দিন এবং যমীকে রাত করেছেন। এমনকি ওয়েষ্টার্ণ আইডিওলজিষ্ট যেমন ম্যক্স মূলারও যম-যমী অর্থ রাত আর দিন করেছেন।তাহলে এখানে ওইসব মূর্খ কিসের ভিত্তিতে এমন জঘন্য অপবাদ দেয় বেদকে??
সংস্কৃত হাজারো শব্দের একাধিক অর্থ রয়েছে।সুক্তের বিষয়বস্তু অনুযায়ী উপযুক্ত অর্থ প্রয়োগ হয়। যদিও মহান অশিক্ষিত মূর্খ পৌরাণিকদের দাবী ওই সায়ণের ব্যা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন