বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬

মুক্ত চিন্তা,,,,

মুসলমানদের চিন্তার মধ্যে গন্ডীভূত বিশ্বাসের জোর বেশী, যার মধ্যে ভুল ভ্রান্তি যা থাকে থাক, সবাই একই জিনিস বিশ্বাস করে, এই বিশ্বাসের জোর তাদেরকে এক করতে পারলেও অন্য জাতিরা যেখানে চিন্তায় এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব এবং আধুনিকতার সংগে তাল মিলিয়ে, মুসলমানরা সেখানে ইসলামের নামে পুরাতনী চিন্তায় পড়ে আছে, এতে একটা  ভবিষ্যতে বড় সমস্যা উদ্ভব হবে, যেমন এখনো যদি কেউ গাছ পালার বাকল বা ছাল পড়ে ইজ্জ্বত ঢাকে তা হবে যেমন হাস্যকর, তেমনি একদিন মুসলমা এবং ইসলাম ধর্ম হবে পৃথিবীর একটা হাস্যকর ধর্ম! কারণ কোরানকে মানতে গিয়ে এরা যখন পৃথিবীর কোন পরিবর্তনের সংগে খাপ খাইয়ে নিতে না পারবে, তখন তারা চিন্তা চেতনায়ও পিছিয়ে পড়বে, এই পিছাতে পিছাতে তারা এমন এক অবস্থায় পৌঁছবে, আজ থেকে হাজার বছর পর তারা নিজেদের মুসলমান পরিচয় দিতেও লজ্জ্বাবোধ করবে, তবু তাদের বর্বরতা থাকবেই, যেমন হিন্দুদেরও মধ্য কিছু সাধু দেখা যায়, নিরামিষ খেয়ে খেয়ে শরীর শেষ, তবু ডিম খায় না, জানি না, তার ভগবান তাকে কি বলেছে? পৃথিবীর অন্যান্য ধর্ম এবং জাতি যে ভাবে পরিবর্তন মেনে নিচ্ছে, নতুন নতুন গবেষণার মাধ্যমে, ইসলাম সেখানে পুরাতনী ধারায় নিজেদের বর্বরতা এবং মূর্খতা দিয়ে একই অবস্তানে আছে, এতে মুসলিমদের চিন্তা শক্তির বিকাশ হচ্ছে না, পৃথিবীর কোন জাতির চিন্তা শক্তির বিকাশ এক সংগে এগিয়ে যায় না, যেমন হিন্দুদের কথাই বলি, হিন্দুরা এখনো মাটি পুজা করে, পিতল পুজা করে, গাছ পুজা করে, এক কথায় দুনিয়ার এমন কোন জিনিস নাই যে হিন্দুরা পুজা করে না, অথচ হিন্দুদেরই মধ্যে বৈদিক নিয়মে অনেক হিন্দুই এ সব পুজার বিরোধী, শুধু তাই নয়, চিন্তার স্বাধীনতার আলোকে হিন্দুদের মধ্যে অনেকে কট্টর মাওবাদী, অনেকে মার্কসবাদী, এক কথায় বস্তুবাদী লেলিনীয় আদর্শে বিশ্বাসী, হিন্দু খ্রীষ্টান এবং বুদ্ধরা যে কমিউনিস্ট এর বস্তুবাদী আদর্শে বিশ্বাসী, বিপরীত ভাবে পৃথিবীর কোন মুসলিম দেশে মার্কসবাদী, লেলিনবাদী বা মাওবাদী আদর্শ গ্রহণের নজীর পৃথিবীর কোন মুসলিম দেশে আছে কি, তাহলে যে হিন্দুদের এবং হিন্দু ধর্মের মানুষের আপনারা অজ্ঞ এবং মূর্খ বলে, খারাপ ভাবেন, তাদেরই বড় একটা অংশ নাস্তিক্যবাদের চিন্তার অনুসারী, অথচ ইসলামে নাস্তিক হওয়ার কোন সুযোগ নাই,. তাহলে চিন্তা চেতনায় হিন্দুরাই এগিয়ে যাচ্ছে নাকি মুসলমানরা? আজ ভারতে কোটি কোটি হিন্দু নাস্তিক্যবাদের সমর্থক, তাই সভ্যতার বিকাশের সংগে সংগে মুসলমানরা ইসলামের দোহাই দিয়ে পুরাতনী মতবাদ দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে, তাতে ইসলামের জয় হবে না, তার প্রমাণ পৃথিবীর সব মুসলিম দেশ, আজ থেকে ১০৮ বছর আগে গোটা ভারতবর্ষে দু একটি হিন্দুকেও খুঁজে পাওয়া যায় নাই, যারা ইসলাম সম্পর্কে কিছু জানে এবং সমালোচনা করে, কিন্ত এখন ভারতে কৌটি কৌটি ইসলাম বিরোধী মানুষ, যে শিক্ষাটা ইসলামেই হিন্দুদের শিখিয়েছে, এমন কি সামাজিক ভাবে মূর্তি পুজায় বিশ্বাসী কিংবা বিশ্বাসী নয়, কিংবা নাস্তিক , কিংবা কমিউনিস্ট সব ধরনেরা মানুষেই এখন মনে মনে ইসলাম বিরোধী, তাহলে কেন এমন হলো! কারণ এটাই হাজার বছর ধর্ম মানুষ ইসলামের বর্বরতা দেখে এসেছে, মুসলমানদে কোন একখান বই খুললেই বিধর্মীদের সমালোচনা, এই হাজার বছর ধরে, বিধর্মীদের প্রতি ইসলামের সমালোচনা, এখন নিউটনের বল  বিদ্যার সুত্রে, অর্থাৎ প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে, অন্য জাতি তথা ইসলাম যাদের বিধর্মী বলে, প্রতিক্রিয়া স্বরূপ তাদের বলের আঘাত মুসলমানদের পেতে হবে, এটাই প্রকৃতিক নিয়ম, এটাই ইতিহাসের শিক্ষা! হিন্দুরা মূর্তি পুজা করে জন্য মুসলমানরা হাসে, সেই মূর্তি পুজক জাতের কোটি কোটি হিন্দ যেএখন
কমিউনিস্ট অর্থাৎ সকল ধর্ম শত্রু, সেই হিন্দুরাই, এটা ভাবলে খুব অবাক লাগে!!

বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০১৬

বৈষ্ণব আর মুরশিদ এক ধর্ম

মুসলমানদের মধ্যে যারা শুধু আল্লা আল্লা বলে জিকির করে, অর্থাৎ মারফতী,  হিন্দুদের মধ্যে তেমনি  বৈষ্ণব সম্প্রদায়, একই শ্রেণী ভুক্ত, যাদেরকে সাধারণ মুসলমানরা ভন্ড বলে , যতই তারা মুখে আল্লা আল্লা করুক, তেমনি বৈষ্ণবরা যতই কৃষ্ণ কৃষ্ণ মুখে বলুক তাদেরকে ভন্ড বলতে কোন দোষ নে�ই যেহেতু এরা কর্মহীন জাত!!

বুধবার, ৮ জুন, ২০১৬

হায়রে হিন্দু জাত!

ইসকোন এবং বৈষ্ণবরা দেশ এবং জাতির শত্রু, কারণ কর্মহীন জাতের ধর্মও থাকে না, এরা সেই কর্মহীন জাত শুধু বসে বসে মালা জপে, কারণ এরা কৃষ্ণের কর্ম করে না, কৃষ্ণের নাম করে, আর এই নাম করে ধোকা দেয় হিন্দু জাতিকে আমরা কৃষ্ণ কর্ম করছি, আসল কথা হলো এই সব অচদা সাধুদের কর্ম এবং নাম সম্পর্কে কো�ন জ্ঞান নাই! এরা জ্ঞান চর্চা করতে চায় না, ভাব এবং ভক্তি দিয়ে জগতকে ফাঁকি দিতে চায়! হিন্দু জাতি দাস বানানোর আমেরিকার চক্রান্ত

হিন্দু জাতির নির্বুদ্ধিতা,,,

ধরলাম, কৃষ্ণের দেশ ভারত, ধরলাম রামের দেশ ভারত, ধরলাম চৈতন্যের দেশ ভারত, উপরের দুটি ভগবানের আমলে মুসলিমদের উপস্থিতির কথা তেমন একটা শাস্ত্র পড়ে জানা যায় না, কিন্তু চৈতন্য প্রভুর আমলে বা ইতিহাস পড়ে দেখতে পাই, তার আমলে ভারতের শাসক ছিল মুসলিম, আদি দেব দেবী দের কথা না হয় বাদই দিলাম, রাম এবং কৃষ্ণ এ দুটি ভগবান হিন্দু জাতির মাঝে এসেও কি করে মুসলমানরা দখল করে রাজত্ব শুরু করলো, কই মক্কা মদিনায় তো কৃষ্ণ এবং চৈতন্য কেউ অবতীর্ণ হতে পারছেন না? তাও ধরলাম ভারতেই না হয় হলেন, কিন্ত যে ভারতে স্বয়ং ভগবান আসলেন হিন্দু ধর্ম রক্ষার্থে , সে ভারতে যদি মুসলমান বাড়ে তাহলে বিষয়টি হাস্যকর নয় কি? কৃষ্ণ এবং রামের দেশে মুসলমান বাড়ে কেন? এর উত্তর হিন্দুদের কোন দেবতা কিংবা ভগবান দিতে পারবে না! কারণ ভগবানেই ভক্তের কলার আশা করে? হিন্দুদের এত ত্রিকালজ্ঞ ঋষি অবতার কেউ কেন ভারতকে পরাধীনতার হাত থেকে রক্ষা করতে পারলেন না? আমরা তো কৃষ্ণের আশায় বসে থাকি, পেরেছে কি কৃষ্ণ ভারত ভূমিকে রক্ষা করতে? পারেনি, শেষ পর্যন্ত করতে হয়েছে ভারতীয় হিন্দুদের, আমি যদি বলি রামের রাজ্যে কেন মুসলমান? কে উত্তর দিবে এ প্রশ্নের? আমি মনে করি সব কিছু ভগবান এবং পুতুল ভগবানের উপর বিশ্বাস এবং ধর্মীয় কিছু ভুলের কারণে হিন্দু জাতির এ পরিণতি, ভারত যে ক্রমে ক্রমে মুসলিম দেশের দিকে ধাবিত হচ্ছে, এত উচ্চ দর্শন থেকেও হিন্দু সমাজ, এবং কৃষ্ণ , রাম এবং চৈতন্য সবাই যেন নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে, আসল কথা হচ্ছে হিন্দু জাতির ভগবান হিন্দু জাতিই, হিন্দুদের ঐক্য শক্তিই, কারণ ভারতে ধীরে ধীরে মুসলমান কিংবা আল্লা প্রবেশ করলেও হি�ন্দুদের ভগবানদের স্বর্গ থেকে মর্ত্যে এসে তেমন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় না, নিজেরা ঐক্য বদ্ধ না হয়ে এই সব ভগবানদের উপর নির্ভর করে থাকাই হয়েছে হিন্দু জাতির ধ্বংসের কারণ, আর ধর্ম তো আছেই!

মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০১৬

আত্মা

পৃথিবীতে  আছে কি এমন বস্তু বা শক্তি যার পরিবর্তন নাই, এ দিক থেকে আপাতত দৃষ্টিতে গীতার দর্শন হিসেবে মনে হচ্ছে, কৃষ্ণ বোধ হয় ভুল বলেছে, আসলে তা নয়, যেমন গীতায় কৃষ্ণ আত্মাকে অক্ষয় , ছেদনহীন, দগ্ধহীন একটা শক্তি, অর্থাৎ শক্তির ধ্বংস নাই, কিন্ত তাই বলে বলেছেন কি শক্তির পরিবর্তন নাই, অবশ্যই না, যেমন যে নির্দিষ্ট সময়ে সাধনা কিংবা যোগ সাধনা করে দেহকে গঠন করবেন , তার দেহের জীবনীশক্তি, আর একজন সাধারণ ভাবে বেঁচে থাকা মানুষের আত্মিক বা জীবনী শক্তি কি এক হবে! কৃষ্ণ ভালো করেই জানেন জীবনের বাইরে আলাদা আত্মা নাই, তাই তিনি ছেদন , দগ্ধ, ক্ষয় এ সবের উর্দ্ধে আত্মাকে জেনেছেন, প্রাণ শক্তি যেহেতু বস্তু শক্তিরই একটা অংশ, অর্থাৎ বিশ্ব জগতে বস্তু থেকে যেহেতু প্রাণের উৎপত্তি আর প্রাণ যেহেতু বস্তুকে নিয়ে তার প্রাণের গতির দিকে ছুটে চলে, এই ছুটে চলা বা বৃদ্ধিই প্রাণের ধর্ম, এই প্রাণশক্তি যতক্ষণ পর্যন্ত সজীব থাকে কতক্ষণ এক দেহ থেকে আব এক দেহে রূপান্তর হয়, কিন্ত তাই বলে মরা দেহের আত্মা কোন মরা দেহে ঢুকে ঐ দেহকে জীবন্ত করে না, কারণ আত্মা যে দেহে ঢুকবে সে দেহ তো এমনিতেই জীবন্ত, সুতরাং জীবন্ত দেহে আত্মা ঢুকার কোন প্রয়োজন আছে কি? পৃথিবীতে কি কেউ দেখেছন কোন মৃত ব্যক্তির আত্মা অর্থাৎ মৃত আত্মা কোন মৃত দেহে ঢুকে দেহকে জীবিত করেছে সুতরাং এ সব ভুল, নয়ত স্বামী স্ত্রীর মিলনের সময় অন্য মৃত ব্যক্তির আত্মা ঢুকা ছাড়া আর কোন উপায় নাই, মানুষ মরার পর কল্পিত আত্মাটাকে জীবিত রেখে ব্রাম্মনদের আদ্যশ্রাদ্ধ, গয়ায় পিন্ডদান এ সব নিয়ম কানুন তৈরী করা হয়েছে ব্রাম্মনদের স্বার্থে, আর অন্যদিকে গীতায় যেহেতু জন্মান্তরবাদকে স্বীকার করা হয়েছে তাই এখনে এগার দিনে শ্রাদ্ধ, বার দিনে শ্রাদ্ধ এ সব  ভিত্তিহীন এবং গীতা বিরুধী, সচল প্রাণ শক্তির রূপান্তরতে বিকৃত করে মরার পর আত্মাকে জীবিত রেখে পুরোহিত দর্পণ দিয়ে এ সব কিছুই ব্রাম্মনদের আদ্য শ্রাদ্ধের ব্যবসা করার জন্য!!

একটু ভেবে দেখি

আপনারা প্রায়ই দেখবেন জাকির নায়েক পিস টিভিতে প্রশ্নকর্তাদের যে সব প্রশ্নের উত্তর দেন কোরানের উদ্ধৃতি দিয়ে, যার সংগে কোরানের উত্তরের কোন সংগতি নেই, অর্থাৎ তিনি কোরানের উদ্ধৃতি দিলেও উত্তরটা তার মনের জ্ঞান থেকে, অর্থাৎ তিনি যা জানেন তাই হচ্ছে কোরান, যদি তাই হয় তাহলে তার উত্তর কোরানের উত্তরের মিল নাই কেন, যেমন টাই পড়া, জন্ম নিয়ন্ত্রণ, আপনারা লক্ষ্য করবেন তার দেয়া উত্তর গুলো কোরানের উদ্ধৃতির সংগে মিল নেই, আর কোরানের উদ্ধৃতির পরে যা বলেন সবই তার জ্ঞান, যা তিনি কোরানের জ্ঞান বলে চালিয়ে দেন, অনেক সময় তিনি বিবর্তনবাদ, জীন, বৈশিষ্ট , চিকিৎসা বিষয়ে যখন বক্তব্য দেন তখন দেন বিজ্ঞান বই থেকে, তখন আবার কোরানকে ব্যবহার করেন না, অর্থাৎ তিনি যা জানেন, সবই কোরান!!