বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০১৬

আর কতদিন এ হোলি খেলা চলবে!!!

# যে লেখাটি লিখতে চাইনি কখনো#
হয়ত এ পোষ্টটি লিখার কারণে সামাজিক গণমাধ্যম এবং অন্যান্য মিডিয়ায়, আমার উপর ক্ষোভ জাগতে পারে, সমালোচনা উঠতে পারে, তবু সব কিছু ভেবেই লিখাটি লিখা:
আমরা সবাই জানি আদিবাসী এবং সংখ্যালঘু হিন্দুরা এ দেশে কেবল সংখ্যা লঘুই নয়, অসহায়ও বটে, তাহলে তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কার? নিশ্চই মুসলমানদের? অন্য দিকে এ দেশের পত্র পত্রিকায় আমরা প্রতিনিয়ত কি দেখছি, আদিবাসী এবং হিন্দু মেয়ে ধর্ষণ, এটাও কি মিথ্যা? এ অভিযোগও কি মিথ্যা? এদেরকে কি ভিন গ্রহ থেকে কেউ এসে ধর্ষণ করছে? নিশ্চই বাঙ্গালী মুসলমান? বাঙ্গালীতো হিন্দরাও, কিন্ত তারা তো আবার ধর্ষণে অভিযুক্ত নয়? তাহলে কেন শুধু মুসলমান বাঙ্গালী বেশী, গরুর মাংশ খায় বলেই কি এদের লিঙ্গের তেজ বেশী? আসলে তা নয়, ধর্ষণ নামক রাস্ট্রীয় জবরদস্তি কিংবা অভ্যাসটা শুরু হয়েছিল, পূর্ব পাকিস্তান থেকে, পরে একই কায়দায় মেজর জিয়াউর রহমান তার পোষ্য সেনা কুকুর দিয়ে গণহারে পার্বত্য এলাকায় প্রতিটি আদিবাসী পরিবারে অন্তত একটি হলেও বাঙ্গালী সন্তানের জন্ম দেওয়ার ইংগিত দিয়ে যান, তারপর থেকে শুরু হলো সেটেলার বাঙ্গালী এবং সেনাবাহিনী দিয়ে ধর্ষণ প্রক্রিয়া শুরু, এমনকি সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়ও এখনো আদিবাসীদের ধর্ষণের সহায়তা করা হয়, সেই ধারাবাহিকতায় এ দিকে প্রতি দিনেই এ দেশে কোন না কোন সংখ্য লঘু মেয়ে ধর্ষিতা হচ্ছে অথচ অন্য দিকে একদল মুসলমান তোতা পাখির মতো বলে বেড়াচ্ছে আমরা শ্রেষ্ঠ ধর্মের উম্মত! ধরলাম তোরা শ্রেষ্ঠ ধর্মের উম্মত, তো আপনাদের দ্বারা এ দেশে এত ধর্ষণ কেন? মুসলমান সংখ্যায় বেশী হলে কি ধর্ষণ বাড়ে? কোরান কি তাই বলে? তাহলে আপনারা কোন মুসলমান , এক মুসলমান বলছেন, ওরা খারাপ, আমরা ভাল, অথচ খারাপ মুসলমানও শেষ হয় না, ভাল মুসলমানও শেষ হয় না, অথচ এ দিকে আশি পার্সেন্ট আদিবাসী মেয়ে তোমাদের মতো কোন মুসলমান দ্বারা ধর্ষিতা, আর কত ধর্ষণ করলে আপনারা বলবেন, আমাদের ধর্ষণ করা শেষ হয়েছে? আর কত মেয়ের পেটে অবৈধ বাচ্চা জন্ম দিয়ে আপনারা বলবেন, আমরা খাঁটি মুসলমান, অনেকে বলবেন, সবাই তো করছি না, ভাল কথা কিন্ত সবাই একবার করে করার পর তখন কি ভাল হবেন,,,,? আসল কথা হলো রাস্ট্রীয় রাজনীতি দিয়েই প্রথম এ দেশে ধর্ষণ শুরু, প্রথম শেখালো পাকিস্তান, জিয়াউর রহমান করলেন, ধর্ষণের প্রতিষ্ঠা, এরশাদ নারী লোভী তো পার্বত্য এলাকায় বাঙ্গালীদের সবাইকে ধর্ষক বানালেন, আমরা হয়তো এখন সাধারণ মুসলমানদের দোষারোপ করছি, আসল সত্য হলো রাস্ট্র মুসলমানেই প্রথম ধর্ষণ প্রক্রিয়া শিখিয়েছে, ট্রেনটা চালু করেছিল রাস্ট্র নিজেই, এখন ট্রেন তার গতিতেই চলছে, এখন রাস্ট্র চাইলেও ধর্ষণ চলবে, রাস্ট্র না চাইলেও চলবে, এটা যেন একটা সামাজিক খেলা কিংবা হোলি খেলার মতো, একদল ছেলে যখন নেশায় আসক্ত হয় তখন তাদের যে কোন ভাবে তখন নেশার টাকা চাই, চুরি করে, পকেট মেরে, খুন করে, ছিনতাই করে, চাঁদাবাজী করে, যে কোন ভাবে যেন চাই, এমনকি বাবা মাকে খুন করেও টাকা না দিলে, তেমনি বাঙ্গালী মুসলমানদের মনে ধর্ষণের এ প্রবৃত্তি মনে গেঁথে গেছে, মুসলমান হলেও তারা ধর্ষণ করবে, মাওলানা ইমাম, হুজুর, মাদ্রাসার শিক্ষক হলেও তারা ধর্ষণ করবে, কাকে করবে জানেন পরীক্ষা বা প্রয়োগের জন্য, সহজ সরল হিন্দু মেয়েদের উপর, এটা কোন সাম্প্রদায়িক ধারণা উস্কে দেওয়ার জন্য লেখাটির উদ্দেশ্য নয়, বাস্তব সত্যকে ফুটে তোলার উদ্দেশ্যেই লেখাটি লিখা! হিন্দু এবং আদিবাসীরা ব্যাপক ভাবে ধর্ষিতা হওয়ার পর কেন তারা বলতে পারবে না, আমরা শুধু মুসলিমদের দ্বারাই ধর্ষিতা হচ্ছি! শুধু গায়ের জোরেই আদিবাসীদের ধর্ষণ করা হয়নি, অর্থনৈতিক ভাবেও তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে, যেন আদিবাসীরা অর্থনৈতিক ভাবে অপরাধে জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হয়, তা রাস্টই তাদের হতে কিংবা দাসে পরিণত করতে সহযোগিতা করেছে, আদিবাসীদের প্রথমে লেখাপড়ার সুযোগেই দেওয়া হয়নি, বিভিন্ন সরকারের শাসনামলে তাদেরকে ঘুরে ফিরে এটাই বোঝানো হয়েছিল যে, বাঙ্গালীদের দ্বারা ধর্ষিতা হওয়ার জন্যেই তোদের জন্ম, মুসলমানদের বর্বর আধিপত্য এবং আগ্রাসনে বৃহত্তর চট্টগ্রামে একটা জাতি বিলীন হওয়ার পথে, আর এ দিকে বাঙ্গালীরা চেঁচিয়ে বেড়াচ্ছে পাকিস্তানীরা আমাদের অনেক মা বোনদের ধর্ষণ করেছিল, সেই ধর্ষিতা বাঙ্গালীদের সন্তানরাই এখন আদিবাসীদের ধর্ষণ করে বেড়াচ্ছে? হায়রে ধর্ষিতা জাত তোরাও আবার ধর্ষণ করতে জানো? ধর্ষণ করতে পারো, তাহলে তোমাদের সংগে পাকিস্তানের কি পার্থক্য? তোমরা যদি বলতে পার পাকিস্তানীরা খারাপ ধর্ষক, তাহলে আদিবাসীরা কেন বলতে পারবে না, তোমরাও খারাপ কিংবা ধর্ষক? নাকি একবার ধর্ষিতা হলে, ধর্ষিতা কখনো ধর্ষক হয়না কোনটি? মা বোন বলতে কি তোমাদের শুধু একার আছে! আদিবাসীদের নেই? কোন এক সময় আমি আমাদের সময় নামক দৈনিক প্রত্রিকার অফিসে গিয়েছিলাম, এই অফিসটি কাওরান বাজারের কাছাকাছি বাংলা মোটর থেকে সামান্য একটু দূরে অফিসে গিয়ে দেখি দুটি আদিবাসী মেয়ে কাজ করে, আমাকে দেখে তারা একটু আনন্দ বোধ করলো , এবং কি কারণে অফিসে আসা জানতে চাইলো, আমি সব জানালাম, তাদের মোবাইল নম্বর নিলাম, পরে সময় করে তাদের সংগে কথা বলে জানতে পেরেছি, সেখানেও তারা যৌন হয়রানির শিকার, কিন্ত এই সব মেয়েরা ছাড়া অন্য মেয়েরা যৌন হয়রানির স্বীকার হয় না! যাক পূর্বে যে বলেছিলাম, একদল ছেলে যখন নেশায় আসক্ত হয় তখন তাদের যে কোন ভাবে টাকা চাই, গরুর মাংশ খাওয়ায় আসক্ত হয়ে অনেক মুসলমান চুরি করেও গরুর মাংশ খেয়েছে এমন বহু নজীরও এ দেশে আছে! টাকা না দিলে বাপকে হত্যা করেও বাপের জমা টাকা নিয়ে মদ গিলতে দেখা গেছে, তেমনি মুসলমানরা এ দেশে ধর্ষণ নামক নেশায় আসক্ত, তারা প্রথমত হিন্দু মেয়ে কাছে পেলে তাকেই আগে ধর্ষণ করতে চাইবে, না পেলে এরা একজন মুসলিম মেয়েকেও ছাড়বে না, তেমনি একই কায়দায় পাকিস্তানীরা প্রথমে এ দেশে স্বাধীনতার প্রাক্কালে খুঁজে খুঁজে হিন্দুদের ধর্ষণ করেছিল, হিন্দুরা পালালে তখন ধর্ষণের নেশায় মুসলিমদেরও ছাড় দেয়নি, কারণ নেশা হলে মানুষের হুশ কমে যায়, তখন নেশাই বাধ্য করে, এই নেশাই আদিবাসীদের ধর্ষণে উৎসাহিত করে, কি শিক্ষিত, কি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কি নাট্যকার, কি চলচ্চিত্র প্রযোজক, কি সম্পাদক, কি সাধারণ মুসলমান সবারই একটি নেশা সহজ সরল জাতিকে ধর্ষণ, তাদেরই সরলতাই যেন এই সব ভদ্র এবং অভদ্র পশুদের উৎসাহিত করেছে, নানা ছলে, বলে, কৌশলে এরা সরলতার সুযোগে এরা জোর করে পশুত্ব মেটাতে চায়, কেউ না দিলে, রাজী না হলে, সেখানেই আরও জোর করে বেশী, যদি ধর্মের দিক দিয়েই যাই, ইসলাম কি বিধর্মীদের ধর্ষণে উৎসাহিত করে? যদি না করে তাহলে মুসলমানের ছদ্দবেশে এ সব করছেন কেন? নিজেদেরও তো আবার অমুসলিম দাবী করছেন না, তার মানে ধর্ষণও করতে চান, আবার মুসলিমও সাজতে চান? আপনারা নব্বই পার্সেন্ট মুসলমান থাকতে কেন এ দেশে এত বেশী ধর্ষণ হবে, নাকি আপনারা মুখোসধারী মুসলিম কোনটি? আপনাদের কোন সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করার ভাষা আমার নেই, জানি আমি একাই প্রতিবাদও করতে পারব না, যাদের আমরা ভাল মুসলমান বলি, তারাও আমার সংগে থেকে জোড়ালো ভূমিকা পালন করবে না, ইমরান এইচ সরকার রাস্তায় তার দল নিয়ে চেঁচাচেঁচি করে যুদ্ধ অপরাধ নিয়ে, শুধু একাত্তরের ধর্ষণকারী নিয়ে, কিন্ত বাহাত্তরে তথা অধুনা যে এ দেশে বাঙ্গালীদের মধ্যে অনেক নতুন রাজাকার এবং ধর্ষণকারীর জন্ম নিয়েছে, তা তিনি তার মুক্তিযুদ্ধের চোখ দিয়ে দেখতে পান না, একাত্তরের অপরাধটাই যেন তার কাছে অপরাধ, এমন কি একটি ক্ষুদ্র জাতি যদি এ দেশ থেকে ধর্ষিতা হতে হতে বিলুপ্ত হয়ে যায়, তবু আমার মনে হয় না, একটি ক্ষুদ্র নিপীড়িত ক্ষুদ্র জাতির পক্ষে একবার রাস্তায় নামবেন, আপনি যদি বলেন, আপনাকে কি বলবে জানেন, সব হবে ধীরে ধীরে ততক্ষণ পর্যন্ত একটি জাতির সব মেয়েরাই প্রেগনেন্ট, এ ভাবে দেশ চলতে পারে না, ধরলাম বাংলাদেশে বেশীর ভাগ মুসলমানেই ভাল, এটা যদি সত্যি হয়, তাহলে গুটি কয়েক ধর্ষণকারী দিনের পর দিন ধর্ষণ করার উৎসাহ পায় কোথা থেকে! আমার মনে হয় ভাল মুসলমান এ দেশে নেই বললেও চলে, অনেকে বলেন ভাল লোক ছাড়া পৃথিবী চলে না, তাহলে আপনারাই যে বলেন, আমেরিকানরা খারাপ, তাহলে তাদের দেশ চলছে কি ভাবে? যদি বাংলাদেশে নিরানব্বই পারসেন্ট নাস্তিক হয়, তখন কি দেশটি থেমে থাকবে? কিংবা তখন কি চলবে না? তাহলে বাংলাদেশে এত গুলো ভাল মুসলমান থাকতে ধর্ষণ বাড়ছে কি ভাবে? হয়তো বলবেন গুটিকয়েক খারাপ? কিন্ত এই গুটিকয়েক আপনাদের শেষ হচ্ছে না কেন? এই গুটিকয়েক গুটিকয়েক বলতে বলতে এ দেশটিকে হিন্দু শুন্য করে ফেললেন, তবু গুটি কয়েকের গান আপনাদের শেষ হলো না! আর কত হিন্দু, এবং আদিবাসী মেয়ে ধর্ষিতা হলে তখন বলবেন, এখন আমাদের ধর্ষণ করা শেষ হয়েছে, হে এ দেশের ভাল মুসলমানগণ হিন্দু এবং আদিবাসী মেয়ে ধর্ষিতা হচ্ছে বলে যে তোমরা এখন চুপ করে আছ, তোমাদেরও এই একই চোখের জলে কাঁদতে হবে, মনে আছে পাকিস্তানী সেনাদের কথা, হিন্দু মেয়ে না পেয়ে তোমার যুবতী মেয়েটাকে তোমার চোখের সামনে যখন ধর্ষণ করতে নিয়ে গিয়েছিল, তুমি আল্লা রসুলের কত দোহাই দিয়েছেল, মুসলমান বলে কত মিনতি করেছিলে, ভুলে গেলে কি সব কিছু, হায়রে ভাল মুসলমান, তোমরা থাকতে এ দেশে সংখ্যা লঘুরাই শুধু ধর্ষিতা হয় বেশী, আর তোরা ফেল ফেল করে চেয়ে দেখ, জানি না, হাস না কাঁদ, বাংলাদেশের একটি মুসলমানও বলে না, আমি অমুসলিম আমি কাফের? তাহলে হিন্দুদের ধর্ষণ করছে কারা, আপনারা, নাকি আল্লার প্রেরীত অন্য কোন শয়তান, যদি বাংলাদেশে হিন্দু মেয়ে ধর্ষণ হওয়া দিন দিন বেড়েই চলে, তাহলে আমিও এটা বুঝে নেব, হয় আপনাদের ধর্মে কোন সমস্যা আছে, নয়তো আপনাদের মুসলমানদের মধ্যে কোন সমস্যা আছে, একটা না একটা তো আছেই, আজ হোক কাল হোক সে সত্য উম্মোচিত হবেই, জানি না, এই লেখাটি লিখে আমাকে কোন ঝুকির মধ্যে পড়তে হবে কিনা_ যা হোক অন্যায়কে মেনে নিতে না পেরে এটাই আমার জীবনে ফেসবুকের পাতায় বড় লেখা!

মঙ্গলবার, ৮ মার্চ, ২০১৬

নির্বোধ জাতি

হিন্দু ধর্মটাই হলো শ্রেণী বিভাগীয় ধর্ম, ধর্মের যাবতীয় বিষয়ে এই ধর্মটি ভাগাভাগিতে পরিণত হয়েছে , এক কথায় চেতনার যোগ মিশ্রিত ধর্মও বলা চলে, সমগ্র ভারতবর্ষে আদিযুগে তথা আদি সময়ে বহু সভ্যতার বিকাশ হয়েছে, বহু সভ্যতার ধ্বংসও হয়েছে, বিশেষ করে মঙ্গলীয়, দ্রাবির , চৈনিক অনেক সভ্যতারই এখানে উৎপত্তি বিকাশ এবং ধ্বংস হয়েছে, নানা কারণে, যেমন বাংলাদেশের কথাই যদি ধরি , এই দেশেও কোন এক সময় বুদ্ধ তথা চৈনিক সভ্যতা ছিল, তার প্রমাণ এ দেশে অনেক জায়গায় বিভিন্ন ধ্বংস প্রাপ্ত গড়, যেমন ময়নামতি গড়, আর মহাস্তানগড়,আর যে গুলো বুদ্ধ সভ্যতারই ছিল, তেমনি ভারতে বহু সভ্যতা এবং বহু জাতির ধ্বংস এবং বিকাশই হলো ভারতীয় সভ্যতা, তৎকালীন ঈশ্বর সম্পর্কীয় বহুবিধ ধারণাই হলো ভারতে বহু সভ্যতার অনুপ্রবেশ, বহু জাতির, মিশ্রিত রক্ত, বীর্য , শরীর এবং চিন্তার বিচিত্রতা, ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ধর্ম তাই ঐক্যের মধ্যে অনৈক্য কিংবা অনৈক্যের মধ্যে ঐক্য, সুতরাং ভারতীয় হিন্দু ধর্ম কোন ধর্ম নয়, বরং ভারত এবং ভারতের বাইরে বিভিন্ন ধর্মের সংমিশ্রিত মতেই হলো হিন্দু ধর্ম, যে হিন্দুরা আজকে বলছে আমরা খাঁটি জাত এবং খাঁটি ধর্ম তা ঐতিহাসিক ভাবে প্রথম দিকে ঠিক থাকলেও পরে অন্য সভ্যতার আক্রমণে হিন্দুদের মূল সভ্যতা বিচ্যুত এবং মিশ্রিত বিলুপ্ত হয়ে পড়ে। রাম রাবণের কাহিনী যতই কাল্পনিক হউক তার থেকে আমরা এটাই বুঝতে পারি , যা বাল্মিকী মুনি বুঝাতে চেয়েছেন, অন্য সভ্যতা মানুষ এবং ধর্মীয় আগ্রাসন, মুনি তখনকার  অন্য সভ্যতাকে রাবণ কিংবা বর্বর সভ্যতারই বোধ হয় আগ্রাসন বুঝিয়েছেন, আর অন্য সভ্যতার আগ্রাসন হলে তখন ধর্মও ঠিক থাকে না, যে দেশে কোন কারণে ধান হয় না, তখন বাধ্য হয়ে সেখানকার মানুষ ফলমুল কিংবা পশু পাখি খেয়ে বেঁচে থাকে, আর যেখানে তাও নাই, সেখানে মাছ থাকলে মানুষ মাছ খেয়েই বেঁচে থাকে, সুতরাং বেঁচে থাকার মানুষের অনেক শিল্প আছে, এমন কি চেষ্টা এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে মানুষের না খেয়েও বেঁচে থাকার চেষ্টা করার অনেক নজীর আছে! যা হোক হিন্দু ধর্ম কেন মানব সভ্যতার শুরুতে পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষেই পৌত্তলিক এবং বহু ঈশ্বর বিশ্বাসী ছিল, যে জাতি যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের মনোনীত কোন ভাল পথ প্রদর্শক পায় নাই, সে জাতির ততক্ষণ পর্যন্ত চিন্তা চেতনার পরিবর্তন কিংবা বিপ্লব ঘটে নাই, বিভিন্ন সভ্যতার বিভিন্ন আগ্রাসন এবং বিভিন্ন চিন্তাই হিন্দু জাতি এবং হিন্দু ধর্মকে বিকৃত এবং ধর্ষণ করেছে, হিন্দু দর্শন এবং হিন্দু জাতি তাই নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন থেকে একটি ধর্ষিতা জাতি, একটি ধর্ষিতা ধর্ম, কোন একটি বেদে কিংবা ধর্ম গ্রন্থে পর্যন্ত তাই গরুকে পর্যন্ত খাওয়ার বিধান রাখা হয়েছে, সম্ভবত বেদ চারটি করার মূল কারণ হয়তো এটাই, হিন্দুদের মহা পবিত্র ধর্ম গ্রন্থের বিকৃতি ঘটানো কিংবা অন্য সভ্যতার  যারা অন্য সভ্যতায় গরু খেয়ে অভ্যস্ত তারা তা হিন্দু সভ্যতায়ও তা  প্রবেশের চেষ্টা করে, এর থেকে বুঝা যায় হিন্দুদের মহা ঋষিদের চিন্তার মধ্যেও রাক্ষস এবং অসুর নামে অন্য ধর্ম এবং সভ্যতার আগ্রাসনেই বুঝানো হয়েছে, কিন্ত তা না জেনে হিন্দুরা শুধু নিজের ধর্মের লোকের মাঝেই অসুর খুঁজে বেড়ায়! এ ভাবে অন্য সভ্যতার বর্বর আগ্রাসনে হিন্দুরা এক হাজার বছর পরাধীন ছিল, আর এ পরাধীনতার কারণে হিন্দুদের সভ্যতা , সংস্কৃতি এবং ধর্ম কোনটিই বিকশিত রূপ করেনি, তার মাঝে যে সব  ধার্মিক পুরুষ হিন্দুদের ধর্মের দিক নির্দেশনাকারী হিসেবে এসেছিলেন, কি জানি অজানা কারণে তারা সবাই নির্বোধ জাতির কাছে শুধু  ভগবান হওয়ার চেষ্টা করেছেন,  অনেক মহাপুরুষ আবার নিজেকে দাবিও করেছেন, তাই হলো হিন্দু জাতির বড় ভুল, সমাজ ইতিহাসের ব্যাখ্যা অনুসারে হিন্দু জাতিই ধর্ষিতা জাতি, হিন্দু ধর্মও ধর্ষিতো ধর্ম, প্রায় এক হাজার বছরেরও বেশী পরাধীন  শাসনে হিন্দু জাতি এবং হিন্দ ধর্ম ঐক্য হওয়ার পরিবেশ পায়নি, সুযোগও পায়নি, অন্য ধর্ম ,মানুষ এবং সভ্যতার চিন্তা তাই হিন্দু জাতিকে গ্রাস করে ফেলে, শুধু রাস্ট্রীয় শাসনেই নয়, বিকৃত সভ্যতা গুলোর রক্তে বীর্যে মিশ্রিত হয়ে হিন্দু ধর্ম এবং জাতির মধ্যে বিলীন হয়ে গিয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিন্তার বিচিত্রতারও জন্ম দিয়েছে, মোগল, আকবর, পাঠান এদের শাসনামলে হিন্দুদের মাতৃগর্ভে জোর করে কম বীর্য ফেলা হয় নাই, ইংরেজরাও ভারতীয় নারীদের উপরে কম বীর্য ফেলে নাই, সুতরাং কোন হিন্দুই ঐতিহাসিক ভাবে অস্বীকার করতে পারবে না, তার  শরীরে মুসলমান এবং ইংরেজদের রক্ত নাই, লজ্জা হলেও বলতে হয় হিন্দুরা একটা ধর্ষিতা জাতি, বহু সভ্যতার বহু রক্ত এবং বীর্য এই নির্বোধ জাতের শরীরে প্রবহমান, এখন তো অনেক সাধু ভাব ধরেছে আমি ইসকোন, তোর হাতে আমার চলবে না, আরে মশাই অন্য হিন্দুর হাতে চলাটা আগে রাখ, তোরই জন্মটা আগে কোথায় সেটা আগে ভেবে দেখ,দুই হাজার বছরের বিদেশী শাসনে তোর মায়ের শরীরে কার রক্তে তোর জন্ম সেটাও ভাবিসনি! ভাব ধরে আছিস আমি বৈষ্ণব, আমি হিন্দু, ধর্মের দিক দিয়ে হিন্দু কি না জানি না, তবে হিন্দু জাতিদের বেশীর ভাগ ইংরেজ এবং মুসলিমদের সন্তান, পুর্বের সরলতা এবং নির্বুদ্ধিতার কারণে হিন্দুরা হলো মুসলমানদের গণিমতের মাল, উল্লাসে বীর্য ফেলার যন্ত্র, যে বীজ বপন করে গেলো মুসলমান এবং ইংরেজরা কেন তাহলে হিন্দুদের মধ্যে অনেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণের প্রবৃত্তি জাগবে না, এখনো যে তোরা একই কায়দায় আবারও হচ্ছিস, ধর্ষণে জাত, কিংবা চিন্তা বদল হয় কি না, তবে কিছু না কিছু তো হয়ই, ধর্ষিতার সন্তান হয়ে যে এখনো এগার, তের , বৈষ্ণব নিয়ে চেঁচাস, ধর্ষিতার সন্তান হয়েও কখনো বলতে শুনিনি, হিন্দুদের জন্য মুসলমান এবং ইংরেজরা ধর্ষক জাত, তোমাদের অস্তিত্ব খেয়ে ফেলার জাত, তাদেরকেই আবার হিন্দু ধর্মের দৃষ্টিকোন থেকে ভাই বলিস, আরে সাধু, মহারাজ , যাকে ভাই বলছিস সেই মুসলমানরা হলো তোমাদের হিন্দু জাতি এবং সভ্যতার ধর্ষক পিতা, অর্থাৎ মুসলিম পিতা, খুব লজ্জা হচ্ছে না! যেহেতু তোরা ধর্ষিতার পুত্র তাই ধর্ষক মুসলিম পিতা তাদের বর্বর ধর্মকেও তোরা শ্রদ্ধা করিস, তারা যে তোমার শুধু কৃষ্ণ, রাম এবং দেবীদের রাজ্যই ধর্ষণ করেছে তা নয়, তোমাদের মতো সরল হিন্দু মাতাকেও তারা ধর্ষণ করতে ছাড়েনি, তোমার মাকে অর্থাৎ মানুষরুপী দূর্গা, কালী মাকেও তারা ধর্ষণ করে ছেড়েছে, তুই এখনো টের পাস না, কারণ হয়তো হিন্দুদের যৌনাঙ্গে কিংবা লিঙ্গে  অনুভূতি কম, কারণ তোদের ধর্ষিতা হওয়ার জন্যেই জন্ম, মন্দির তোর দেবতা বিশ্বাসী মায়ের দশটি হাতেই মুসলমানদের হাতে ভাঙ্গার দৃশ্য দেখার জন্যেই তোদের জন্ম, আর তোরা এমন ভগবানের পুজা করিস, যে সব দেবতাদের সবার হাতে অস্ত্র থাকলেও কি জানি অজানা কারণে তো হাতে আবার একটি অস্ত্রও নাই, অথচ তোর বাড়িতে , তো ঘরে, তোর দেশে, তোর বাড়ীতে বর্বর মুসলমানরা আটশ বছর তোর বউকে নিয়ে শুয়ে থাকলো তবু তুই এখনো টের পাস না, তবু সমাজে সেই একই গান গেয়ে চলছিস, ভগবান যা করায় ভালই করায়, অপূর্ব তোর ভগবানের মহত্ব, অপূর্ব তো ভগবানের ক্ষমতা, তাই তো প্রতি বছর তোদের ভগবানের কৃষ্ণ মুসলমানদের হাতে আছাড় খায়, তবু বলতে ছাড়িস না, সবিই ভগবান করায়, এমনটি হলে আমার কেন জানি মনে হয় এই সব ভগবানদের আছাড় খাওয়ার জন্যেই জন্ম, আর কতদিন বলবি, তৃণের চেয়ে নীচু হও, অভাবে পড়লে, শুধু গোবিন্দ গোবিন্দ কর, আর কতদিন বলবি, কিছুই তো হয়নি, আসলে ততক্ষণে অনেক কিছুই হয়ে গেছে, হয়তো আমরা বুঝতে পারিনি, নির্বোধ হওয়ার কারণে, কারণ কোন কিছুই থেমে থাকে না কারো জন্য, আর একটি ধর্ষিতা জাতের কতটুকুই বা বোধ থাকে, ভুল হলে ক্ষমা করবেন, একটি জাতিকে লজ্জা দিয়ে আমি নিজেই লজ্জিত! দ্রাবিড়, হরপ্পা, মহেন্জদরো, মুসলমানরাই যে তোদের আদি ধর্ষক পিতা সেটাও কি তোদের একবারও কি মনে পড়ে না! তোরা হিন্দুরা সংখ্যায় এত বেশী থেকেও কেন, এই সব অসভ্য সভ্যতাগুলো তোদের শাসন , শোষণ করার সুযোগ পেয়েছিল? এই সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে তোদের কথিত অবতার পুরুষগুলো ঐক্য করে যাননি কেন? ধর্মের কথাই যদি বলি, ভগবান বা আল্লা যদি সব করান তাহলে মানুষের জন্য দোজক , বেহেস্ত কিংবা স্বর্গ নরক কেন? কিংবা পাপ ক্ষমা করার অপরাধে তাহলেতো ভগবানেই হন আসল অপরাধী, সবই ভগবান করালে মানুষ কেন নরক ভোগ করবে? হিন্দুরা বিভক্ত এবং ভাগে বিশ্বাসী, পরমাত্মা পেয়ে সন্তুষ্ট থাকেনি, পরম আত্মাকে  ভাগ করে  আত্মা বের করেছে, তাতেও সন্তুষ্ট থাকেনি, সেই আত্মাকে আবার আত্মারাম, ভূতাত্মা, প্রেতাত্মা , প্রাণ, আপাণ, কত ভাবে বিশ্লেষণ করেছে, বায়ুকেও পাঁচ ভাগে ভাগ করতে ছাড়েনি হিন্দুদের অবতারগণ, মানুষকেও চার বর্ণে ভাগ করেছে, সূর্যকেও বার নামে ভাগ করেছে, দেবতা তো আছেই, তেত্রিশ এ হয়েছে শেষ পর্যন্ত তেত্রিশ কোটি, অবতার তো গুণেও শেষ করা যায় না, ভগবানও এত বেশী তাই অনেক সময় এক সংগে হিন্দরা একটি ভগবানকেই তিন নামে কীর্তন গায়, মুখে আবার ঠিকই বলে স্রস্টা একজন, তাহলে অবতার কিংবা ভগবান তাহলে কেন এত জন? কৃষ্ণেই তো বলেছেন তিনি দুষ্ট দমনের জন্য অবতীর্ণ হন, এ দিক দিয়ে কৃষ্ণ অবতার হলে স্রস্টা হন কি করে? তাহলে কি স্রস্টাই অবতার কিংবা অবতারেই স্রস্টা? যে কৃষ্ণ হিন্দু ধর্ম এবং হিন্দু জাতিকে রক্ষার জন্য অবতীর্ণ হয়েছেন , সেই ভারতবর্ষ যখন ইংরেজ এবং মুসলমানের অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে পড়েছিল, তখন কি কৃষ্ণ আবার ভারতে আশার প্রয়োজন মনে করেননি? আর কত নির্যাতিত হলে কৃষ্ণ তখনি আসবেন? এখনেই তো কৃষ্ণের দেশ ত্রিশ পার্সেন্ট মুসলমানে ভরে গেছে, 50/50 আর একবার ভারত ভাগ হওয়ার পর কি  তিনি তখন আসবেন ? আমার তো মনে হয় আর আসবেন না, কোথাও মারামারি লাগলে পুলিশ সাধারণত পরে আসে , অনেক সময় আসেও না, তেমনি হিন্দু ধর্মের অবতাররা হিন্দু জাতি এদিকে শেষ হয়ে যাচ্ছে, হিন্দুরা যার আশায় বসে আছে, নিজেদের রক্ষা করার চেতনাও  ভগবানের আশায় থেকে সব হারাবাহ পথে বসিয়েছে, তবু ডাকার মতো ঢাকার বিশ্বাস তবু হিন্দুদের শেষ হয় না? অবাক ধর্ম! হিন্দুদের ভগবান বেশী লাগে, আবার জায়গা কম হলেও চলে, সম্পদ বেশী হলে ত্যাগ কর, আর এ দিকে মহান অমৃত গান গেয়ে বেড়াচ্ছেন, কিছুই তো হয়নি, আর কত কিছু হলে তখন বলবেন এখন কিছু হয়েছে, মনে হয় যেদিন ভারতে একটি মন্দিরও থাকবে না, সেদিন কি বলবেন এখন কিছু হয়েছে!

নির্বোধ জাতি...! হিন্দু

হিন্দু ধর্মটাই হলো শ্রেণী বিভাগীয় ধর্ম, ধর্মের যাবতীয় বিষয়ে এই ধর্মটি ভাগাভাগিতে পরিণত হয়েছে , এক কথায় চেতনার যোগ মিশ্রিত ধর্মও বলা চলে, সমগ্র ভারতবর্ষে আদিযুগে তথা আদি  সময়ে বহু সভ্যতার বিকাশ হয়েছে, বহু সভ্যতার ধ্বংসও হয়েছে, বিশেষ করে মঙ্গলীয়, দ্রাবির , চৈনিক অনেক সভ্যতারই এখানে উৎপত্তি বিকাশ এবং ধ্বংস হয়েছে, নানা কারণে, যেমন বাংলাদেশের কথাই যদি ধরি , এই দেশেও কোন এক সময় বুদ্ধ তথা চৈনিক সভ্যতা ছিল, তার প্রমাণ এ দেশে অনেক জায়গায় বিভিন্ন ধ্বংস প্রাপ্ত গড়, যেমন ময়নামতি গড়, আর মহাস্তানগড়,আর যে গুলো বুদ্ধ সভ্যতারই ছিল, তেমনি ভারতে বহু সভ্যতা এবং বহু জাতির ধ্বংস এবং বিকাশই হলো ভারতীয় সভ্যতা, তৎকালীন ঈশ্বর সম্পর্কীয় বহুবিধ ধারণাই হলো ভারতে বহু সভ্যতার অনুপ্রবেশ, বহু জাতির, মিশ্রিত রক্ত, বীর্য , শরীর এবং চিন্তার বিচিত্রতা, ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ধর্ম তাই ঐক্যের মধ্যে অনৈক্য কিংবা অনৈক্যের মধ্যে ঐক্য, সুতরাং ভারতীয় হিন্দু ধর্ম কোন ধর্ম নয়, বরং ভারত এবং ভারতের বাইরে বিভিন্ন ধর্মের সংমিশ্রিত মতেই হলো হিন্দু ধর্ম, যে হিন্দুরা আজকে বলছে আমরা খাঁটি জাত এবং খাঁটি ধর্ম তা ঐতিহাসিক ভাবে প্রথম দিকে ঠিক থাকলেও পরে অন্য সভ্যতার আক্রমণে হিন্দুদের মূল সভ্যতা বিচ্যুত এবং মিশ্রিত বিলুপ্ত হয়ে পড়ে। রাম রাবণের কাহিনী যতই কাল্পনিক হউক তার থেকে আমরা এটাই বুঝতে পারি , যা বাল্মিকী মুনি বুঝাতে চেয়েছেন, অন্য সভ্যতা মানুষ এবং ধর্মীয় আগ্রাসন, মুনি তখনকার  অন্য সভ্যতাকে রাবণ কিংবা বর্বর সভ্যতারই বোধ হয় আগ্রাসন বুঝিয়েছেন, আর অন্য সভ্যতার আগ্রাসন হলে তখন ধর্মও ঠিক থাকে না, যে দেশে কোন কারণে ধান হয় না, তখন বাধ্য হয়ে সেখানকার মানুষ ফলমুল কিংবা পশু পাখি খেয়ে বেঁচে থাকে, আর যেখানে তাও নাই, সেখানে মাছ থাকলে মানুষ মাছ খেয়েই বেঁচে থাকে, সুতরাং বেঁচে থাকার মানুষের অনেক শিল্প আছে, এমন কি চেষ্টা এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে মানুষের না খেয়েও বেঁচে থাকার চেষ্টা করার অনেক নজীর আছে! যা হোক হিন্দু ধর্ম কেন মানব সভ্যতার শুরুতে পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষেই পৌত্তলিক এবং বহু ঈশ্বর বিশ্বাসী ছিল, যে জাতি যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের মনোনীত কোন ভাল পথ প্রদর্শক পায় নাই, সে জাতির ততক্ষণ পর্যন্ত চিন্তা চেতনার পরিবর্তন কিংবা বিপ্লব ঘটে নাই, বিভিন্ন সভ্যতার বিভিন্ন আগ্রাসন এবং বিভিন্ন চিন্তাই হিন্দু জাতি এবং হিন্দু ধর্মকে বিকৃত এবং ধর্ষণ করেছে, হিন্দু দর্শন এবং হিন্দু জাতি তাই নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন থেকে একটি ধর্ষিতা জাতি, একটি ধর্ষিতা ধর্ম, কোন একটি বেদে কিংবা ধর্ম গ্রন্থে পর্যন্ত তাই গরুকে পর্যন্ত খাওয়ার বিধান রাখা হয়েছে, সম্ভবত বেদ চারটি করার মূল কারণ হয়তো এটাই, হিন্দুদের মহা পবিত্র ধর্ম গ্রন্থের বিকৃতি ঘটানো কিংবা অন্য সভ্যতার  যারা অন্য সভ্যতায় গরু খেয়ে অভ্যস্ত তারা তা হিন্দু সভ্যতায়ও তা  প্রবেশের চেষ্টা করে, এর থেকে বুঝা যায় হিন্দুদের মহা ঋষিদের চিন্তার মধ্যেও রাক্ষস এবং অসুর নামে অন্য ধর্ম এবং সভ্যতার আগ্রাসনেই বুঝানো হয়েছে, কিন্ত তা না জেনে হিন্দুরা শুধু নিজের ধর্মের লোকের মাঝেই অসুর খুঁজে বেড়ায়! এ ভাবে অন্য সভ্যতার বর্বর আগ্রাসনে হিন্দুরা এক হাজার বছর পরাধীন ছিল, আর এ পরাধীনতার কারণে হিন্দুদের সভ্যতা , সংস্কৃতি এবং ধর্ম কোনটিই বিকশিত রূপ করেনি, তার মাঝে যে সব  ধার্মিক পুরুষ হিন্দুদের ধর্মের দিক নির্দেশনাকারী হিসেবে এসেছিলেন, কি জানি অজানা কারণে তারা সবাই নির্বোধ জাতির কাছে শুধু  ভগবান হওয়ার চেষ্টা করেছেন,  অনেক মহাপুরুষ আবার নিজেকে দাবিও করেছেন, তাই হলো হিন্দু জাতির বড় ভুল, সমাজ ইতিহাসের ব্যাখ্যা অনুসারে হিন্দু জাতিই ধর্ষিতা জাতি, হিন্দু ধর্মও ধর্ষিতো ধর্ম, প্রায় এক হাজার বছরেরও বেশী পরাধীন  শাসনে হিন্দু জাতি এবং হিন্দ ধর্ম ঐক্য হওয়ার পরিবেশ পায়নি, সুযোগও পায়নি, অন্য ধর্ম ,মানুষ এবং সভ্যতার চিন্তা তাই হিন্দু জাতিকে গ্রাস করে ফেলে, শুধু রাস্ট্রীয় শাসনেই নয়, বিকৃত সভ্যতা গুলোর রক্তে বীর্যে মিশ্রিত হয়ে হিন্দু ধর্ম এবং জাতির মধ্যে বিলীন হয়ে গিয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিন্তার বিচিত্রতারও জন্ম দিয়েছে, মোগল, আকবর, পাঠান এদের শাসনামলে হিন্দুদের মাতৃগর্ভে জোর করে কম বীর্য ফেলা হয় নাই, ইংরেজরাও ভারতীয় নারীদের উপরে কম বীর্য ফেলে নাই, সুতরাং কোন হিন্দুই ঐতিহাসিক ভাবে অস্বীকার করতে পারবে না, তার  শরীরে মুসলমান এবং ইংরেজদের রক্ত নাই, লজ্জা হলেও বলতে হয় হিন্দুরা একটা ধর্ষিতা জাতি, বহু সভ্যতার বহু রক্ত এবং বীর্য এই নির্বোধ জাতের শরীরে প্রবহমান, এখন তো অনেক সাধু ভাব ধরেছে আমি ইসকোন, তোর হাতে আমার চলবে না, আরে মশাই অন্য হিন্দুর হাতে চলাটা আগে রাখ, তোরই জন্মটা আগে কোথায় সেটা আগে ভেবে দেখ,দুই হাজার বছরের বিদেশী শাসনে তোর মায়ের শরীরে কার রক্তে তোর জন্ম সেটাও ভাবিসনি! ভাব ধরে আছিস আমি বৈষ্ণব, আমি হিন্দু, ধর্মের দিক দিয়ে হিন্দু কি না জানি না, তবে হিন্দু জাতিদের বেশীর ভাগ ইংরেজ এবং মুসলিমদের সন্তান, পুর্বের সরলতা এবং নির্বুদ্ধিতার কারণে হিন্দুরা হলো মুসলমানদের গণিমতের মাল, উল্লাসে বীর্য ফেলার যন্ত্র, যে বীজ বপন করে গেলো মুসলমান এবং ইংরেজরা কেন তাহলে হিন্দুদের মধ্যে অনেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণের প্রবৃত্তি জাগবে না, এখনো যে তোরা একই কায়দায় আবারও হচ্ছিস, ধর্ষণে জাত, কিংবা চিন্তা বদল হয় কি না, তবে কিছু না কিছু তো হয়ই, ধর্ষিতার সন্তান হয়ে যে এখনো এগার, তের , বৈষ্ণব নিয়ে চেঁচাস, ধর্ষিতার সন্তান হয়েও কখনো বলতে শুনিনি, হিন্দুদের জন্য মুসলমান এবং ইংরেজরা ধর্ষক জাত, তোমাদের অস্তিত্ব খেয়ে ফেলার জাত, তাদেরকেই আবার হিন্দু ধর্মের দৃষ্টিকোন থেকে ভাই বলিস, আরে সাধু, মহারাজ , যাকে ভাই বলছিস সেই মুসলমানরা হলো তোমাদের হিন্দু জাতি এবং সভ্যতার ধর্ষক পিতা, অর্থাৎ মুসলিম পিতা, খুব লজ্জা হচ্ছে না! যেহেতু তোরা ধর্ষিতার পুত্র তাই ধর্ষক মুসলিম পিতা তাদের বর্বর ধর্মকেও তোরা শ্রদ্ধা করিস, তারা যে তোমার শুধু কৃষ্ণ, রাম এবং দেবীদের রাজ্যই ধর্ষণ করেছে তা নয়, তোমাদের মতো সরল হিন্দু মাতাকেও তারা ধর্ষণ করতে ছাড়েনি, তোমার মাকে অর্থাৎ মানুষরুপী দূর্গা, কালী মাকেও তারা ধর্ষণ করে ছেড়েছে, তুই এখনো টের পাস না, কারণ হয়তো হিন্দুদের যৌনাঙ্গে কিংবা লিঙ্গে  অনুভূতি কম, কারণ তোদের ধর্ষিতা হওয়ার জন্যেই জন্ম, মন্দির তোর দেবতা বিশ্বাসী মায়ের দশটি হাতেই মুসলমানদের হাতে ভাঙ্গার দৃশ্য দেখার জন্যেই তোদের জন্ম, আর তোরা এমন ভগবানের পুজা করিস, যে সব দেবতাদের সবার হাতে অস্ত্র থাকলেও কি জানি অজানা কারণে তো হাতে আবার একটি অস্ত্রও নাই, অথচ তোর বাড়িতে , তো ঘরে, তোর দেশে, তোর বাড়ীতে বর্বর মুসলমানরা আটশ বছর তোর বউকে নিয়ে শুয়ে থাকলো তবু তুই এখনো টের পাস না, তবু সমাজে সেই একই গান গেয়ে চলছিস, ভগবান যা করায় ভালই করায়, অপূর্ব তোর ভগবানের মহত্ব, অপূর্ব তো ভগবানের ক্ষমতা, তাই তো প্রতি বছর তোদের ভগবানের কৃষ্ণ মুসলমানদের হাতে আছাড় খায়, তবু বলতে ছাড়িস না, সবিই ভগবান করায়, এমনটি হলে আমার কেন জানি মনে হয় এই সব ভগবানদের আছাড় খাওয়ার জন্যেই জন্ম, আর কতদিন বলবি, তৃণের চেয়ে নীচু হও, অভাবে পড়লে, শুধু গোবিন্দ গোবিন্দ কর, আর কতদিন বলবি, কিছুই তো হয়নি, আসলে ততক্ষণে অনেক কিছুই হয়ে গেছে, হয়তো আমরা বুঝতে পারিনি, নির্বোধ হওয়ার কারণে, কারণ কোন কিছুই থেমে থাকে না কারো জন্য, আর একটি ধর্ষিতা জাতের কতটুকুই বা বোধ থাকে, ভুল হলে ক্ষমা করবেন, একটি জাতিকে লজ্জা দিয়ে আমি নিজেই লজ্জিত! দ্রাবিড়, হরপ্পা, মহেন্জদরো, মুসলমানরাই যে তোদের আদি ধর্ষক পিতা সেটাও কি তোদের একবারও কি মনে পড়ে না! তোরা হিন্দুরা সংখ্যায় এত বেশী থেকেও কেন, এই সব অসভ্য সভ্যতাগুলো তোদের শাসন , শোষণ করার সুযোগ পেয়েছিল? এই সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে তোদের কথিত অবতার পুরুষগুলো ঐক্য করে যাননি কেন? ধর্মের কথাই যদি বলি, ভগবান বা আল্লা যদি সব করান তাহলে মানুষের জন্য দোজক , বেহেস্ত কিংবা স্বর্গ নরক কেন? কিংবা পাপ ক্ষমা করার অপরাধে তাহলেতো ভগবানেই হন আসল অপরাধী, সবই ভগবান করালে মানুষ কেন নরক ভোগ করবে? হিন্দুরা বিভক্ত এবং ভাগে বিশ্বাসী, পরমাত্মা পেয়ে সন্তুষ্ট থাকেনি, পরম আত্মাকে  ভাগ করে  আত্মা বের করেছে, তাতেও সন্তুষ্ট থাকেনি, সেই আত্মাকে আবার আত্মারাম, ভূতাত্মা, প্রেতাত্মা , প্রাণ, আপাণ, কত ভাবে বিশ্লেষণ করেছে, বায়ুকেও পাঁচ ভাগে ভাগ করতে ছাড়েনি হিন্দুদের অবতারগণ, মানুষকেও চার বর্ণে ভাগ করেছে, সূর্যকেও বার নামে ভাগ করেছে, দেবতা তো আছেই, তেত্রিশ এ হয়েছে শেষ পর্যন্ত তেত্রিশ কোটি, অবতার তো গুণেও শেষ করা যায় না, ভগবানও এত বেশী তাই অনেক সময় এক সংগে হিন্দরা একটি ভগবানকেই তিন নামে কীর্তন গায়, মুখে আবার ঠিকই বলে স্রস্টা একজন, তাহলে অবতার কিংবা ভগবান তাহলে কেন এত জন? কৃষ্ণেই তো বলেছেন তিনি দুষ্ট দমনের জন্য অবতীর্ণ হন, এ দিক দিয়ে কৃষ্ণ অবতার হলে স্রস্টা হন কি করে? তাহলে কি স্রস্টাই অবতার কিংবা অবতারেই স্রস্টা? যে কৃষ্ণ হিন্দু ধর্ম এবং হিন্দু জাতিকে রক্ষার জন্য অবতীর্ণ হয়েছেন , সেই ভারতবর্ষ যখন ইংরেজ এবং মুসলমানের অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে পড়েছিল, তখন কি কৃষ্ণ আবার ভারতে আশার প্রয়োজন মনে করেননি? আর কত নির্যাতিত হলে কৃষ্ণ তখনি আসবেন? এখনেই তো কৃষ্ণের দেশ ত্রিশ পার্সেন্ট মুসলমানে ভরে গেছে, 50/50 আর একবার ভারত ভাগ হওয়ার পর কি  তিনি তখন আসবেন ? আমার তো মনে হয় আর আসবেন না, কোথাও মারামারি লাগলে পুলিশ সাধারণত পরে আসে , অনেক সময় আসেও না, তেমনি হিন্দু ধর্মের অবতাররা হিন্দু জাতি এদিকে শেষ হয়ে যাচ্ছে, হিন্দুরা যার আশায় বসে আছে, নিজেদের রক্ষা করার চেতনাও  ভগবানের আশায় থেকে সব হারাবাহ পথে বসিয়েছে, তবু ডাকার মতো ঢাকার বিশ্বাস তবু হিন্দুদের শেষ হয় না? অবাক ধর্ম! হিন্দুদের ভগবান বেশী লাগে, আবার জায়গা কম হলেও চলে, সম্পদ বেশী হলে ত্যাগ কর, আর এ দিকে মহান অমৃত গান গেয়ে বেড়াচ্ছেন, কিছুই তো হয়নি, আর কত কিছু হলে তখন বলবেন এখন কিছু হয়েছে, মনে হয় যেদিন ভারতে একটি মন্দিরও থাকবে না, সেদিন কি বলবেন এখন কিছু হয়েছে!