শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

আত্মা সম্পর্কে আনন্দ বেদ:

পূনজন্ম একটা আধ্যাত্নিক দর্শন, দুটি মানুষ থেকে কোটি কোটি মানুষ হওয়াটাই প্রথম মানুষ দুটিরই জন্মান্তর, এখানে আলাদা কোথাও থেকে মানুষের ভিতরে আত্মা প্রবেশ করে নাই, তাহলে এখন মনে হতে পারে প্রথম মানুষ দুটির আত্মা কোথায় গেলো, যদি মৃত্যুর পর ধরে নাও তাহলে প্রথম মানুষ দুটির আত্মা মরার আগেই নি:স্ক্রিয় বা নি:শেষ হয়ে গেছে কিংবা আত্মা শক্তি জড় শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে গেছে, জড় এবং জীবন মিলেই তো জীবের ধারা, জীবন শৃঙ্খলা নষ্ট বা বিনষ্ট হয় বলেই জীবনের মৃত্যু বা রূপান্তর ঘটে, বস্তু বা জড় পদার্থ ছাড়া আত্মা বেঁচে থাকে না, তাহলে দেহ না থাকলে আত্মা বেঁচে থাকে কি করে, যার সহজ অর্থ দেহ না থাকলে আত্মা মরে যায়, এখন হয়তো বলতে পারেন গীতায় যে বলা হয়েছে আত্মার মৃত্যু নাই, এ কথাও সঠিক কারণ বেঁচে থাকা অবস্থায় অর্থাৎ জীবন্ত অবস্থায় একজন মানুষ যা করে, যেখানে যা শক্তি প্রয়োগ করে, তার মধ্যে তার জীবন্ত শক্তি রূপান্তর হয়ে যায়, অর্থাৎ একজন মানুষ তার পুরো জীবনে যা করে তা তার জীবন্ত শক্তির মাধ্যমে, বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বস্তুরও ধ্বংস নাই, শক্তিরও ধ্বংস নাই, তাহলে জীবন্ত শক্তি বা আত্মা ধ্বংস হয় কি করে, জীবন্ত শক্তি কর্মের মাধ্যমে ক্ষয় হয়, আর যা করে ক্ষয় হয় সে সবের মধ্যে সে শক্তি রূপান্তরিত হয়ে থাকে, তাই কৃষ্ণ বলেছেন বস্তুরও ধ্বংস নাই, শক্তিরও ধ্বংস নাই, দুটি মানুষের জীবন থেকে যখন অনেক মানুষ হয় তখন বুঝতে হবে কোন মানুষেই মৃত মানুষের স্বত্বা থেকে আসে নাই, সবই জীবন্ত মানুষের জীবন অবস্থায় রূপান্তর, মরার পর কারো জন্মও হয় না, কেউ জন্মও দেয় না, এক কথায় জীবনের আত্মা বা জীবন থাকে, মৃত মানুষের জীবনও থাকে না, আত্মাও থাকে না, তুমি বলেছ ব্রহ্মান্ড যা আছে আমাদের দেহেও তাই তাই আছে এর অর্থ জগত মানেই ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ, বোম এর সমষ্টি, যা দিয়ে সবাই গঠিত, এই সব বস্তুর বাইরে কোন কিছুই সৃষ্ট নয়, আর স্বর্গ নরক, তা মরার পর এ সব কিছু নাই! মানুষ মরলে আর সেই মানুষটি জন্মগ্রহণ করে না, মরার আগেই জন্ম দিয়ে যায়! মরার আগেই সে বেঁচে থাকে তার কিংবা পূর্ব পুরুষদের জন্ম নেয়া কোটি মানুষের মাঝেই!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন