বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০১৬

আর কতদিন এ হোলি খেলা চলবে!!!

# যে লেখাটি লিখতে চাইনি কখনো#
হয়ত এ পোষ্টটি লিখার কারণে সামাজিক গণমাধ্যম এবং অন্যান্য মিডিয়ায়, আমার উপর ক্ষোভ জাগতে পারে, সমালোচনা উঠতে পারে, তবু সব কিছু ভেবেই লিখাটি লিখা:
আমরা সবাই জানি আদিবাসী এবং সংখ্যালঘু হিন্দুরা এ দেশে কেবল সংখ্যা লঘুই নয়, অসহায়ও বটে, তাহলে তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কার? নিশ্চই মুসলমানদের? অন্য দিকে এ দেশের পত্র পত্রিকায় আমরা প্রতিনিয়ত কি দেখছি, আদিবাসী এবং হিন্দু মেয়ে ধর্ষণ, এটাও কি মিথ্যা? এ অভিযোগও কি মিথ্যা? এদেরকে কি ভিন গ্রহ থেকে কেউ এসে ধর্ষণ করছে? নিশ্চই বাঙ্গালী মুসলমান? বাঙ্গালীতো হিন্দরাও, কিন্ত তারা তো আবার ধর্ষণে অভিযুক্ত নয়? তাহলে কেন শুধু মুসলমান বাঙ্গালী বেশী, গরুর মাংশ খায় বলেই কি এদের লিঙ্গের তেজ বেশী? আসলে তা নয়, ধর্ষণ নামক রাস্ট্রীয় জবরদস্তি কিংবা অভ্যাসটা শুরু হয়েছিল, পূর্ব পাকিস্তান থেকে, পরে একই কায়দায় মেজর জিয়াউর রহমান তার পোষ্য সেনা কুকুর দিয়ে গণহারে পার্বত্য এলাকায় প্রতিটি আদিবাসী পরিবারে অন্তত একটি হলেও বাঙ্গালী সন্তানের জন্ম দেওয়ার ইংগিত দিয়ে যান, তারপর থেকে শুরু হলো সেটেলার বাঙ্গালী এবং সেনাবাহিনী দিয়ে ধর্ষণ প্রক্রিয়া শুরু, এমনকি সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়ও এখনো আদিবাসীদের ধর্ষণের সহায়তা করা হয়, সেই ধারাবাহিকতায় এ দিকে প্রতি দিনেই এ দেশে কোন না কোন সংখ্য লঘু মেয়ে ধর্ষিতা হচ্ছে অথচ অন্য দিকে একদল মুসলমান তোতা পাখির মতো বলে বেড়াচ্ছে আমরা শ্রেষ্ঠ ধর্মের উম্মত! ধরলাম তোরা শ্রেষ্ঠ ধর্মের উম্মত, তো আপনাদের দ্বারা এ দেশে এত ধর্ষণ কেন? মুসলমান সংখ্যায় বেশী হলে কি ধর্ষণ বাড়ে? কোরান কি তাই বলে? তাহলে আপনারা কোন মুসলমান , এক মুসলমান বলছেন, ওরা খারাপ, আমরা ভাল, অথচ খারাপ মুসলমানও শেষ হয় না, ভাল মুসলমানও শেষ হয় না, অথচ এ দিকে আশি পার্সেন্ট আদিবাসী মেয়ে তোমাদের মতো কোন মুসলমান দ্বারা ধর্ষিতা, আর কত ধর্ষণ করলে আপনারা বলবেন, আমাদের ধর্ষণ করা শেষ হয়েছে? আর কত মেয়ের পেটে অবৈধ বাচ্চা জন্ম দিয়ে আপনারা বলবেন, আমরা খাঁটি মুসলমান, অনেকে বলবেন, সবাই তো করছি না, ভাল কথা কিন্ত সবাই একবার করে করার পর তখন কি ভাল হবেন,,,,? আসল কথা হলো রাস্ট্রীয় রাজনীতি দিয়েই প্রথম এ দেশে ধর্ষণ শুরু, প্রথম শেখালো পাকিস্তান, জিয়াউর রহমান করলেন, ধর্ষণের প্রতিষ্ঠা, এরশাদ নারী লোভী তো পার্বত্য এলাকায় বাঙ্গালীদের সবাইকে ধর্ষক বানালেন, আমরা হয়তো এখন সাধারণ মুসলমানদের দোষারোপ করছি, আসল সত্য হলো রাস্ট্র মুসলমানেই প্রথম ধর্ষণ প্রক্রিয়া শিখিয়েছে, ট্রেনটা চালু করেছিল রাস্ট্র নিজেই, এখন ট্রেন তার গতিতেই চলছে, এখন রাস্ট্র চাইলেও ধর্ষণ চলবে, রাস্ট্র না চাইলেও চলবে, এটা যেন একটা সামাজিক খেলা কিংবা হোলি খেলার মতো, একদল ছেলে যখন নেশায় আসক্ত হয় তখন তাদের যে কোন ভাবে তখন নেশার টাকা চাই, চুরি করে, পকেট মেরে, খুন করে, ছিনতাই করে, চাঁদাবাজী করে, যে কোন ভাবে যেন চাই, এমনকি বাবা মাকে খুন করেও টাকা না দিলে, তেমনি বাঙ্গালী মুসলমানদের মনে ধর্ষণের এ প্রবৃত্তি মনে গেঁথে গেছে, মুসলমান হলেও তারা ধর্ষণ করবে, মাওলানা ইমাম, হুজুর, মাদ্রাসার শিক্ষক হলেও তারা ধর্ষণ করবে, কাকে করবে জানেন পরীক্ষা বা প্রয়োগের জন্য, সহজ সরল হিন্দু মেয়েদের উপর, এটা কোন সাম্প্রদায়িক ধারণা উস্কে দেওয়ার জন্য লেখাটির উদ্দেশ্য নয়, বাস্তব সত্যকে ফুটে তোলার উদ্দেশ্যেই লেখাটি লিখা! হিন্দু এবং আদিবাসীরা ব্যাপক ভাবে ধর্ষিতা হওয়ার পর কেন তারা বলতে পারবে না, আমরা শুধু মুসলিমদের দ্বারাই ধর্ষিতা হচ্ছি! শুধু গায়ের জোরেই আদিবাসীদের ধর্ষণ করা হয়নি, অর্থনৈতিক ভাবেও তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে, যেন আদিবাসীরা অর্থনৈতিক ভাবে অপরাধে জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হয়, তা রাস্টই তাদের হতে কিংবা দাসে পরিণত করতে সহযোগিতা করেছে, আদিবাসীদের প্রথমে লেখাপড়ার সুযোগেই দেওয়া হয়নি, বিভিন্ন সরকারের শাসনামলে তাদেরকে ঘুরে ফিরে এটাই বোঝানো হয়েছিল যে, বাঙ্গালীদের দ্বারা ধর্ষিতা হওয়ার জন্যেই তোদের জন্ম, মুসলমানদের বর্বর আধিপত্য এবং আগ্রাসনে বৃহত্তর চট্টগ্রামে একটা জাতি বিলীন হওয়ার পথে, আর এ দিকে বাঙ্গালীরা চেঁচিয়ে বেড়াচ্ছে পাকিস্তানীরা আমাদের অনেক মা বোনদের ধর্ষণ করেছিল, সেই ধর্ষিতা বাঙ্গালীদের সন্তানরাই এখন আদিবাসীদের ধর্ষণ করে বেড়াচ্ছে? হায়রে ধর্ষিতা জাত তোরাও আবার ধর্ষণ করতে জানো? ধর্ষণ করতে পারো, তাহলে তোমাদের সংগে পাকিস্তানের কি পার্থক্য? তোমরা যদি বলতে পার পাকিস্তানীরা খারাপ ধর্ষক, তাহলে আদিবাসীরা কেন বলতে পারবে না, তোমরাও খারাপ কিংবা ধর্ষক? নাকি একবার ধর্ষিতা হলে, ধর্ষিতা কখনো ধর্ষক হয়না কোনটি? মা বোন বলতে কি তোমাদের শুধু একার আছে! আদিবাসীদের নেই? কোন এক সময় আমি আমাদের সময় নামক দৈনিক প্রত্রিকার অফিসে গিয়েছিলাম, এই অফিসটি কাওরান বাজারের কাছাকাছি বাংলা মোটর থেকে সামান্য একটু দূরে অফিসে গিয়ে দেখি দুটি আদিবাসী মেয়ে কাজ করে, আমাকে দেখে তারা একটু আনন্দ বোধ করলো , এবং কি কারণে অফিসে আসা জানতে চাইলো, আমি সব জানালাম, তাদের মোবাইল নম্বর নিলাম, পরে সময় করে তাদের সংগে কথা বলে জানতে পেরেছি, সেখানেও তারা যৌন হয়রানির শিকার, কিন্ত এই সব মেয়েরা ছাড়া অন্য মেয়েরা যৌন হয়রানির স্বীকার হয় না! যাক পূর্বে যে বলেছিলাম, একদল ছেলে যখন নেশায় আসক্ত হয় তখন তাদের যে কোন ভাবে টাকা চাই, গরুর মাংশ খাওয়ায় আসক্ত হয়ে অনেক মুসলমান চুরি করেও গরুর মাংশ খেয়েছে এমন বহু নজীরও এ দেশে আছে! টাকা না দিলে বাপকে হত্যা করেও বাপের জমা টাকা নিয়ে মদ গিলতে দেখা গেছে, তেমনি মুসলমানরা এ দেশে ধর্ষণ নামক নেশায় আসক্ত, তারা প্রথমত হিন্দু মেয়ে কাছে পেলে তাকেই আগে ধর্ষণ করতে চাইবে, না পেলে এরা একজন মুসলিম মেয়েকেও ছাড়বে না, তেমনি একই কায়দায় পাকিস্তানীরা প্রথমে এ দেশে স্বাধীনতার প্রাক্কালে খুঁজে খুঁজে হিন্দুদের ধর্ষণ করেছিল, হিন্দুরা পালালে তখন ধর্ষণের নেশায় মুসলিমদেরও ছাড় দেয়নি, কারণ নেশা হলে মানুষের হুশ কমে যায়, তখন নেশাই বাধ্য করে, এই নেশাই আদিবাসীদের ধর্ষণে উৎসাহিত করে, কি শিক্ষিত, কি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কি নাট্যকার, কি চলচ্চিত্র প্রযোজক, কি সম্পাদক, কি সাধারণ মুসলমান সবারই একটি নেশা সহজ সরল জাতিকে ধর্ষণ, তাদেরই সরলতাই যেন এই সব ভদ্র এবং অভদ্র পশুদের উৎসাহিত করেছে, নানা ছলে, বলে, কৌশলে এরা সরলতার সুযোগে এরা জোর করে পশুত্ব মেটাতে চায়, কেউ না দিলে, রাজী না হলে, সেখানেই আরও জোর করে বেশী, যদি ধর্মের দিক দিয়েই যাই, ইসলাম কি বিধর্মীদের ধর্ষণে উৎসাহিত করে? যদি না করে তাহলে মুসলমানের ছদ্দবেশে এ সব করছেন কেন? নিজেদেরও তো আবার অমুসলিম দাবী করছেন না, তার মানে ধর্ষণও করতে চান, আবার মুসলিমও সাজতে চান? আপনারা নব্বই পার্সেন্ট মুসলমান থাকতে কেন এ দেশে এত বেশী ধর্ষণ হবে, নাকি আপনারা মুখোসধারী মুসলিম কোনটি? আপনাদের কোন সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করার ভাষা আমার নেই, জানি আমি একাই প্রতিবাদও করতে পারব না, যাদের আমরা ভাল মুসলমান বলি, তারাও আমার সংগে থেকে জোড়ালো ভূমিকা পালন করবে না, ইমরান এইচ সরকার রাস্তায় তার দল নিয়ে চেঁচাচেঁচি করে যুদ্ধ অপরাধ নিয়ে, শুধু একাত্তরের ধর্ষণকারী নিয়ে, কিন্ত বাহাত্তরে তথা অধুনা যে এ দেশে বাঙ্গালীদের মধ্যে অনেক নতুন রাজাকার এবং ধর্ষণকারীর জন্ম নিয়েছে, তা তিনি তার মুক্তিযুদ্ধের চোখ দিয়ে দেখতে পান না, একাত্তরের অপরাধটাই যেন তার কাছে অপরাধ, এমন কি একটি ক্ষুদ্র জাতি যদি এ দেশ থেকে ধর্ষিতা হতে হতে বিলুপ্ত হয়ে যায়, তবু আমার মনে হয় না, একটি ক্ষুদ্র নিপীড়িত ক্ষুদ্র জাতির পক্ষে একবার রাস্তায় নামবেন, আপনি যদি বলেন, আপনাকে কি বলবে জানেন, সব হবে ধীরে ধীরে ততক্ষণ পর্যন্ত একটি জাতির সব মেয়েরাই প্রেগনেন্ট, এ ভাবে দেশ চলতে পারে না, ধরলাম বাংলাদেশে বেশীর ভাগ মুসলমানেই ভাল, এটা যদি সত্যি হয়, তাহলে গুটি কয়েক ধর্ষণকারী দিনের পর দিন ধর্ষণ করার উৎসাহ পায় কোথা থেকে! আমার মনে হয় ভাল মুসলমান এ দেশে নেই বললেও চলে, অনেকে বলেন ভাল লোক ছাড়া পৃথিবী চলে না, তাহলে আপনারাই যে বলেন, আমেরিকানরা খারাপ, তাহলে তাদের দেশ চলছে কি ভাবে? যদি বাংলাদেশে নিরানব্বই পারসেন্ট নাস্তিক হয়, তখন কি দেশটি থেমে থাকবে? কিংবা তখন কি চলবে না? তাহলে বাংলাদেশে এত গুলো ভাল মুসলমান থাকতে ধর্ষণ বাড়ছে কি ভাবে? হয়তো বলবেন গুটিকয়েক খারাপ? কিন্ত এই গুটিকয়েক আপনাদের শেষ হচ্ছে না কেন? এই গুটিকয়েক গুটিকয়েক বলতে বলতে এ দেশটিকে হিন্দু শুন্য করে ফেললেন, তবু গুটি কয়েকের গান আপনাদের শেষ হলো না! আর কত হিন্দু, এবং আদিবাসী মেয়ে ধর্ষিতা হলে তখন বলবেন, এখন আমাদের ধর্ষণ করা শেষ হয়েছে, হে এ দেশের ভাল মুসলমানগণ হিন্দু এবং আদিবাসী মেয়ে ধর্ষিতা হচ্ছে বলে যে তোমরা এখন চুপ করে আছ, তোমাদেরও এই একই চোখের জলে কাঁদতে হবে, মনে আছে পাকিস্তানী সেনাদের কথা, হিন্দু মেয়ে না পেয়ে তোমার যুবতী মেয়েটাকে তোমার চোখের সামনে যখন ধর্ষণ করতে নিয়ে গিয়েছিল, তুমি আল্লা রসুলের কত দোহাই দিয়েছেল, মুসলমান বলে কত মিনতি করেছিলে, ভুলে গেলে কি সব কিছু, হায়রে ভাল মুসলমান, তোমরা থাকতে এ দেশে সংখ্যা লঘুরাই শুধু ধর্ষিতা হয় বেশী, আর তোরা ফেল ফেল করে চেয়ে দেখ, জানি না, হাস না কাঁদ, বাংলাদেশের একটি মুসলমানও বলে না, আমি অমুসলিম আমি কাফের? তাহলে হিন্দুদের ধর্ষণ করছে কারা, আপনারা, নাকি আল্লার প্রেরীত অন্য কোন শয়তান, যদি বাংলাদেশে হিন্দু মেয়ে ধর্ষণ হওয়া দিন দিন বেড়েই চলে, তাহলে আমিও এটা বুঝে নেব, হয় আপনাদের ধর্মে কোন সমস্যা আছে, নয়তো আপনাদের মুসলমানদের মধ্যে কোন সমস্যা আছে, একটা না একটা তো আছেই, আজ হোক কাল হোক সে সত্য উম্মোচিত হবেই, জানি না, এই লেখাটি লিখে আমাকে কোন ঝুকির মধ্যে পড়তে হবে কিনা_ যা হোক অন্যায়কে মেনে নিতে না পেরে এটাই আমার জীবনে ফেসবুকের পাতায় বড় লেখা!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন