শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আর কত ঘুমাবি হিন্দু জাতি,,,

দিব্যজ্ঞান নয় ,বাস্তব জ্ঞান চাই.. ...!
‹ › হোম
ওয়েব সংস্করণ দেখুন
শনিবার, ৫ মার্চ, ২০১৬
biswash yahoo এই সময়ে ৭:৩৪ am
কবে আর বোধদয় হবে?
ভারতীয় হিন্দুরা যতই চেষ্টা করুক, যতই এক হোক তারা যুক্তির দিক দিয়ে কখনো মুসলিমদের সংগে পেরে উঠতে পারবে না, এবং আজ হোক , কাল হোক, হিন্দুরাই একদিন বুঝবে ইসলামের ধারণাটাই সঠিক ছিল, তা একটু ব্যাখ্যা করে বলি, সাধারণত মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত, আস্তিক এবং নাস্তিক , নাস্তিক্যবাদ ধারণা বুদ্ধ, লাতিন আমেরিকা এবং ইউরোপীয়ান country গুলোতে খুব প্রবল! আমাদের এশিয়া মহাদেশ এবং দু একটি উন্নত দেশ ছাড়া , বেশীর ভাগ লোকেই কোন না কোন ধর্মে বিশ্বাসী, যেহেতু বেশীর ভাগ লোক ধর্ম বিশ্বাসী তাই নাস্তিক্যবাদ নিয়ে না হয় নাই বললাম! নাই বিষয় দিয়ে ঝগড়া দীর্ঘস্থায়ী করা যায় বেশী, কারণ কোন পক্ষেরই প্রমাণ থাকে না জন্য! এই কথাটাই নিম্নবর্তী বিভিন্ন আলোচনা করতে গেলে ঠিকই বুঝতে পারবেন! যেমন ভারতে মুসলমানদের সংগে হিন্দুদের দ্বন্দ্ব এখন ধর্ম থেকে ধীরে ধীরে জাতিগত দ্বন্দ্বে রূপ লাভ করতেছে, ভারতের অনেক হিন্দুই এখন মুসলমানদের ঢালাও ভাবে খারাপ বলে, যদিও এটা কেউ ব্যক্তিক পর্যায়ে বললেও রাস্ট্রীয় পর্যায়ে বলা কিন্তু ঠিক নয়, কারণ আমি অনেক মুসলিমকে দেখেছি ইসলাম ধর্মের নবীকে গালিগালাজ করতে, যে নিজেও জীবনে কখনো নামাজ পড়েনি, এবং আজীবন ইসলামের বিরুদ্ধ কথা বলেছে, এমনি মুসলিম পরিবারের জন্ম গ্রহণ করেও অনেক মুসলিম লেখিকা ইসলামের বারটা বাজিয়েছে, অনেক লেখককে মুসলিম জংগীরা মেরেও ফেলেছে, যদিও তাদের সংখ্যা কম, অন্যদিকে হিন্দু ধর্মের অনেক দেবতা বিশ্বাস নিয়ে হিন্দুরা কোনদিন মুসলিমদের সংগে পারবে না, তথাপি রাস্ট্র যে ভাবে হিন্দুদের উস্কে দিয়ে মুসলমানদের খারাপ ভাবায়ে জাতিগত দাঙ্গা এবং রক্তপাত সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে , যা হবে ভবিষ্যতে বহু সংখ্যক জনগণের একটা গুরুতর সংঘাত এবং রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ! হিন্দুদের এক ভক্তের হাতে চৈতন্য, আর এক ভক্তের হাতে কৃষ্ণ, আর এক ভক্তের হাতে ত্রিশুল এই ধরণের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে হিন্দুরা ভারতে মুসলমানদের তাঁড়ালে বা তাদের ক্ষতি করলে তা একদিকে যেমন হবে মানবাধিকার লঙ্ঘন, অন্যদিকে তেমনি হবে অসহায় টালিগজ্ঞ এর পতিতদের পুণর্বাসন না করে উচ্ছেছ করার মতো! হিন্দুদের বহু ঈশ্বর, বহু দেব দেবী থেকেও ভারতে সাধারণ একজন অজানা নিরাকার আল্লার সংগে পেরে উঠতে পারছে না, তা ভাবলে বড়ই অবাক লাগে, নাকি ঈশ্বর বহু হলে ক্ষমতা কম হয় কোনটি? আমরা জানি কোথাও দাঙ্গা হলে যে দিকে লোক বেশী সে দিকে জয় হবার সম্ভাবনা বেশী, হিন্দুর এত গুলো ভগবান, অবতার থেকেও তাদের সামগ্রিক শক্তি কম কেন? একজন আল্লা তাও আবার নিরাকার তার সঙ্গেই পেরে উঠতে পারছে না কেন? এত গুলো ভগবান থেকে হিন্দুরা তাদের দেশ, মাটি , ভিটা হারাচ্ছে কেন? নিজ দেশেই কেন বা তারা ধীরে ধীরে পরবাসী হচ্ছে? বিষয়টি কি ভাবার মতো নয়? হিন্দুদের নিজেদেরই ধর্মের ঠিক নাই, এক একটি বাড়ীতে চারটি ভাই চার রকম ভগবানে বিশ্বাসী, এই ভিন্ন বিশ্বাসে এক ভাই আগুনে পুড়লে আরেক ভাই, এগিয়ে যায় না, আরও বলে ওর ভগবান ওকে বাঁচাক না দেখি, আমার ভগবান হলে ঠিকই আমাকে বাঁচাতো, যেমন ভারতে শতকরা আশি পার্সেন্ট লোক হিন্দু ধর্ম বিশ্বাসী! তাদের আছে অসংখ্য দেব দেবী, অসংখ্য ভগবান, অসংখ্য শাস্ত্র, এক এক শাস্ত্র পড়ে এক এক পন্ডিত, এক এক শাস্ত্রজ্ঞ, কেউ বেদ মতে, কেউ চৈতন্য বৈষ্ণব, কেউ, কালী মায়ের উপাসক, কেউ রাম ভক্ত, কেউ দূর্গা মায়ের উপাসক, আরও কত কি? এক বাড়ীতে, এক পাড়ায় চারটি দেবতার জন্য ,চারটি মন্দির, আর শাস্ত্রের যেমন হিসেব নেই, তেমনি দেবতারও ভগবানের যেমন হিসেব নেই, এত সব বিশ্বাস করে এই জাতি নাকি মুসলিমদের সংগে লড়াই করবে! বাংলাদেশের মতো একটি ছোট দেশ ভারতের পশ্চিম বঙ্গ এই টুকু জায়গায় হিন্দুদের সব মিলে ২০০ ভগবানের জন্ম! কি এমন একটি ছোট প্রদেশে এত ধর্মের গ্লানি এবং অধর্মের বৃদ্ধি হয়েছিল যার জন্য এত গুলো ভগবানের আর্বিভাব হতে হয়েছিল, আর এত গুলো মানবরূপী ভগবান জন্মে কিবা ঐক্য করে গেলেন হিন্দু জাতির জন্য? এখন ভারতে শিবের ভক্ত, কৃষ্ণ ভক্তকে মারে, বজরং দল , ইসকোন ঠাকুরদের হাত পা ভেঙ্গে দেয়, এক কথায় বহু দেবতা এবং বহু শাস্ত্রের কারণে হিন্দুদেরই মধ্যে ঐক্য নাই, হিন্দুরা তো থাক, হিন্দুর দেবতাদের সংগে দেবতাদের মিল নাই, এক দেবতা আর এক দেবীকে ধর্ষণ করেছে! কারো গলায় শুকনো তুলসী কাঠের মালা, কারো গলায় জামরুল ফলের মালা, কারো নাসিকায় গোয়ার খয়েরী মাটির তিলক, কারো হাতে ঝোঁলা, কারো গলায় হরতকীর মালা! এখন আবার মূল কথায় আসি, ভারতে কিছু হিন্দুত্ববাদী দল শুধু হিন্দুদের নানা ভাবে গোঁজামিল দিয়ে আপাতত ভোটের জন্য একটা হিন্দু জাগরণ চেতনাকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে, যাদের কাছে রাম, হরি, চৈতন্য, বিষ্ণু বিভেদ নাই, তারা শুধু চায় হিন্দু, এই হিন্দু চেতনা এবং হিন্দু দিয়ে , এবং মুসলমানদের খারাপ ভাবিয়ে তারা ভারতবর্ষকে রাম রাজত্ব করতে চায়, এটা যদিও আমি সমর্থন করি না, তথাপি ভারতের সব পূর্বতন সরকার গুলোর বেশী মাত্রায় ইসলাম প্রীতি, মুসলমানদের বেশী সুযোগ সুবিধা দেয়া এবং আগের সরকার গুলোর ধর্মীয় উদাসীনতা এবং ইসলামের প্রতি এক পাক্ষিক আচরণের কারণে মুসলিমরা ভারতে তাদের বর্বর আদর্শ এবং লক্ষ্য নিয়ে একটা বড় রকম জায়গা করে নিয়েছে, যার কারণে একটা ভারসাম্যের প্রয়োজন, কোন কোন জায়গায় মুসলিমদের অত্যাচারেই হিন্দুরাই এখন তাদের কাছে অসহায়, মুসলিমরা কোরান,হাদিস নিয়ে যে চেতনায় লালিত পালিত তা বন্ধ না করলে হিন্দুরা যে ভারতবর্ষে এত দেবতা ও ভগবান থেকেও যে একদিন ভারতবর্ষ হারাবে তা নির্বিধায় বলা চলে! এখন থেকে ভারত বর্ষে কোন সরকার যদি মুসলিমদের কোরান হাদিস এর শিক্ষা গুলো পাঠ্য বই থেকে তুলে না নেয়, তাহলে অচিরে মুসলিমদের সংগে হিন্দুদের একটা রক্তক্ষয়ী খেলা হবেই! কিন্তু এত কম সংখ্যক মুসলমানদের কখনো দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধির হওয়ার কথা নয়, কারণটি হলো হিংসামি এবং শয়তানি দিয়ে মুসলমানরা জনসংখ্যা বৃদ্ধি করেছে, তাও সরকারকে সবার আগে গুরুত্ব দিতে হবে, আর তাদের যে হিংসামী মূলক চিন্তাভাবনা যা তারা কোথা থেকে শিখছে তার মূলৎপাটন করতে হবে, এর সাথে সমস্ত মুসলিমদের তাদের শিক্ষার পাশাপাশি বিকল্প আধুনিক শিক্ষাও দিতে হবে! শিক্ষার মাধ্যমে মুসলিমদের ধর্মীয় উগ্রবাদী চিন্তা দূর করতে না পারলে তাদের সমস্ত বর্বরতা একদিন তারা ইসলামের শান্তির নামেই কায়েম করবে, তাই বলে মুসলিমদের খারাপ বানিয়ে তাদের সংগে ধর্ম যুদ্ধে , মানুষ হত্যার মতো নিষ্ঠুরতা নয়, তা কোন জাতির জন্য কল্যাণও নয়! আমি যতটুকু জানি কোন মানুষের কোন দোষ নেই, সব দোষ তার চিন্তাভাবনার! ঢালাও ভাবে মুসলিমদের দোষ দিয়ে লাভ নাই, কারণ ভারতে মুসলিমদের এক তৃতিয়াংশই হিন্দু বা অন্য অবহেলিত জাতি থেকে আসা মুসলিম! এখন যদি বলি হিন্দুরা কেন মুসলিম হলো, কোন সাহসে হিন্দুদের সম্মুখে, হিন্দুরুাই মুসলিম হচ্ছে! তাই গভীরে চিন্তা করতে হবে॥ হিন্দুদের আজ বড়ই দুর্দিন ভারতে, কোন ঠাকুর, কোন দেবতা বিপদের দিনে আজ আর নাই, কোন অবতারও ভয়ে এখন আর অবর্তীর্ণ হচ্ছেন না? যখন ভারতের হিন্দুরা খুব বোকা ছিল সেই সময়েই দুষ্টের দমন করার জন্য ভগবানগুলোরও আবির্ভাব হওয়ার যেন খুব বেশী প্রয়োজন হয়েছিল, এর থেকে বোঝা বোকা হিন্দুগুলোর সময়ে ভগবানেরও দুষ্ট দমন করার সুবিধা বেশী, আর থাকাও স্বাভাবিক কারণ বেশী চালাক হলে ভগবানের ভগবান হওয়াও বড় কষ্টকর, তাই আধুনিক যুগে কোন ভগবান আসলে তাই প্রেম নিয়ে আসেন, তীব ধনুক আর চলে না, এখন ভগবানের অস্ত্রের ক্ষমতার চেয়ে মানুষের তৈরী মারণাস্ত্রক অস্ত্রের ক্ষমতা বেশী, এখন ভারতবর্ষের হিন্দুদের সামনে বড় চ্যালেন্জ, লক্ষ্ লক্ষ্ দেবতা আর ভগবান নিয়ে তারা এখন মুসলিমদের সংগে লড়াই করবে? নাকি হিন্দু ধর্মকেই আবার ঢেলে সাজাবে? আমি যতটুকু মনে করি, যত সব হিন্দুদের আদি দেবতা, অবতার, কিংবা ভগবান তাদেরকেই আগে ভারত থেকে বের করে দিতে হবে! হিন্দুদের বাঁচার এখন একটাই রাস্তা, কান্ডজ্ঞান দেখানো, যারা যারা ইতিপূর্বে ভগবান বা স্বয়ং ঈশ্বর দাবী করেছিল, তাদেরকেই আগে ভারত থেকে বিলুপ্ত করে দেওয়া, যেমন কৃষ্ণ, রাম, চৈতন্য, অনুকুল, নিগমানন্দ, রামকৃষ্ণ পরম হংস, বালক ব্রম্মচারী, ভগবান রজনীশ, কিংবা আদি কল্পিত সব দেবতা, আর যারা নিজেদের স্বয়ং ভগবান দাবী করেননি, যেমন বিবেকানন্দ, ঋষি অরবিন্দু, বি আর আম্বেদকর, নেতাজী সুবাস বোস, গৌতম বুদ্ধ, শঙ্করাচার্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিংবা অন্যান্য জ্ঞানী ও মহামানবরা, যারা শুধু জ্ঞান ও বিজ্ঞানে জানার চেষ্টা করেছে, ভগবান সাজার চেষ্টা করেননি, এই সব মানবরুপী মহামানব , জ্ঞানী গুণীরা যারা হিন্দু জাতির ভগবান নন, তাদেরই আজ হিন্দু জাতির বেশী প্রয়োজন , হিন্দুদের উচিত , ভগবান নয়, এই সব মানুষদের বেশী সম্মান দেখানো,, ঘরে কিংবা বাইরে, হিন্দুদের আর একটি কাজ করতে হবে তা হলো, মন্দির বা উপাসনালয়ে কোন মানব কিংবা পুর্ববতী কোন ভগবান বা ঈশ্বরের কোন প্রতিমুর্তি রাখা যাবে না, উপাসনালয় থাকবে সব সময় বস্তুহীন, কিংবা নিরাকার, কিংবা মূর্তিহীন... যে কেউ যত দেবতাকে বিশ্বাস করে করুক , কিন্তু মন্দিরে কোন মূর্তি থাকবে না, এবং হিন্দুদের ধীরে ধীরে সেই সব মন্দিরে প্রতি সপ্তাহে একবার সমেবেত করে যোগ ব্যায়াম এবং শুধু জীব প্রেম নামক এক ঈশ্বর কে জানার পাশাপাশি কর্ম, জ্ঞান, বিজ্ঞান, খাদ্য, পরিবেশ , সামাজিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক জ্ঞান দিতে হবে! সে সাথে বিজ্ঞান মানসিকতাকে আরও বেশী বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে, মন্দির প্রতি দিনে তিনবার নয় , হয় একবার যোগ ব্যয়াম আর প্রতি সপ্তাহে একদিন সমেবেত করা , আলোচনা করা, কোন মূর্তি পুজা নয়, কোন ঈশ্বর সাধনা নয়, শুধু যোগ ব্যায়াম আর ভারতের ভগবান দাবী না করা, যত সব মানুষরুপী মহাপুরুষরা আছে , তাদের শিক্ষা, আদর্শ, জ্ঞান এবং বাস্তবতা সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া, এ ছাড়া ভারত বর্ষে হিন্দু জাতিকে রক্ষা করার আর উপায় নাই! তখন মুসলিমরা আপনাদের খারাপ ভাবা তো দূরে থাক, পা ধরে আপনাদের ধর্মে ইচ্ছা করে আসতে চাইবে! সাধারণ হিন্দুদের জন্য সপ্তাহে একদিন সমবেত, আলোচনা এবং ভারতের সব জ্ঞানী গুণী দার্শনিকদের জানা এটাই এখন সব হিন্দুদের mission হওয়া উচিত! যোগ ব্যায়াম, নিরাকার ঈশ্বরে বিশ্বাস কিংবা অনুগত কিংবা অবিশ্বাস ( অনুগত বা নির্ভর নয়), প্রার্থনা কিংবা প্রার্থনা নয়, যার যেটা মন চায়, সব নিয়ে আলোচনা, আর মানসিক চিন্তা চেতনার বিকাশ , মন্দির গুলোকে সে লক্ষ্যে ব্যবহার করা উচিত! আগেই বলেছি না জানা বিষয় নিয়ে দুনিয়া দখল করা যায়, মুসলমানরা সেই না জানা নিরাকার ঈশ্বরের কথা বলেই গোটা পৃথিবী একদিন দখল করতে চায়, এটাই কৌশল কারণ আকার দিলে ভগবান দুর্বল হয়, এবং সে ভগবান দিয়ে গোটা পৃথিবী দখল করা যায় না, যেহেতু সে ভগবানকে কোথাও বসিয়ে রাখলে, বেশী জায়গাও লাগে না!! তাহলে এ রূপ ভগবানের অনুসারীরা ভূমিই বা না হারাবে কেন? বিষয়টি কি ভাবার মতো এখনো সময় হয়নি?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন